দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিনই লুকোছাপা করতে দেখা যায়নি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। মধ্য ৪০-এ এসে তিনি ঘোরতর সংসারী হলেও জীবনে নানা সময়ে নানা নারীর আগমন ঘটেছে তাঁর জীবনে। এই মুহূর্তে পিয়া চক্রবর্তী তাঁর স্ত্রী। তবে পিয়ার আগে পরমব্রতর জীবন জুড়ে যে নারীর দীর্ঘ আনাগোনা ছিল তিনই ইকা, বিদেশিনী, পেশায় চিকিৎসক।

প্রায় ১১ বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। বিদেশে প্রেমের সূত্রপাত। দীর্ঘদিন লিভইনের পর কলকাতায় আগমন হয় তাঁদের। এরপর আসে করোনা। শোনা যায়, করোনার পর থেকেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কেন? দীর্ঘ নীরবতার পর সম্প্রতি এক পডকাস্টে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পরমব্রত। 

তিনি বলেন, "আমরা একসঙ্গে ছিলাম প্রায় ১১ বছর। ব্যাপারটা অনেকটা বৈবাহিক সম্পর্কের মতোই ছিল। শুধু খাতায় কলমে বিয়েটা করিনি বলা যেতে পারে। আমরা যখন সম্পর্ক শুরু করি, জানতাম এটা লং ডিসট্যান্স সম্পর্ক হতে চলেছে। প্রথম ৪-৫টা বছর এটা বুঝতেই কেটে গিয়েছিল আমরা একে-অপরের জন্য কমপ্যাটিবল কি না। সেটা যখন বুঝতে পারলাম, ইকা কলকাতায় আসে।’

তবে বাদ সাধে দু'জনের পেশাদার জীবন। বিদেশে গিয়ে সেটল করা সম্ভব ছিল না পরমব্রত। এই দেশেই তাঁর রুটিরুজি। অন্যদিকে বিদেশিনী চিকিৎসকের পক্ষে এ দেশে কাজ করতেও অসুবিধে হচ্ছিল। চেষ্টা করছিলেন দু'জনেই। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। লকডাউনের ঠিক আগে নিজের দেশে কাজের জন্য গিয়েছিলেন ইকা। ঠিক ছিল ফিরে আসবেন। এরপরেই করোনা। লকডাউন। দীর্ঘ দিন পরম-ইকা আলাদা। কোভিড শেষ হলে ইকা ফিরে এলেও দূরত্ব যে বেড়েছে তা বুঝতে পেরেছিলেন দু'জনেই। পরমব্রত জানান, ইকা ফিরে জানান, এভাবে আর হচ্ছে না। একই উপলব্ধি হয়েছিল পরমেরও। বাধ্য হয়েই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। খারাপ লাগলেও মেনে নিতে হয়েছিল সবটা। মেনে নিতে হয়েছিল সত্যটা। ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন ইকাও। পরমব্রতর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মা হয়েছেন ইকা। ওদিকে পিয়াও সন্তানসম্ভবা। শীঘ্রই বাবা হবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।