কবিতা বলতে ঠিক কী বোঝেন, তা জানেন না তিনি। কারণ জানলে তাঁর হাঁটা শেষ হয়ে যাবে। কবিতা ও গদ্যের মধ্যে কী তফাৎ, তাও ঠাওর করতে পারেন না তিনি। শুধু অনুভব করতে পারেন, একটা ঝাপসা কুয়াশাময় সীমারেখা আছে দুইয়ের মধ্যে। আর বিশ্বাস করেন, কবিতাও কুয়াশার মতোই অনেকটা। দেখা যায়, কিন্তু ধরা যায় না। বলেন “আমাদের জীবন, আর একটা কবিতার জন্য অপেক্ষা”…তিনি শ্রীজাত। কবি শ্রীজাত বলেন অনেকেই। নিজে পদবী ব্যবহার করেন না বহুদিন। কবি বললেও একটু কিন্তু কিন্তু করেন, বরং শুধু শ্রীজাত বললেই সহজ বোধ করেন এই শান্ত মানুষটি।
প্রতীক্ষা মানে তাঁর কাছে কবিতা, আর প্রতীক্ষার মধ্যেই তিনি এও বিশ্বাস করেন ‘কবি তো সন্ন্যাসী নয়, টাটকা মাছ কেনে প্রতিদিন। ’ তিনিও মাছ ভালোবাসেন আর পাঁচটা বাঙালির মতোই। চুনো মাছের চচ্চড়ি, লোটের ঝুরি, কাচকি মাছের ঝাল তাঁর খুব পছন্দের। আবার ঝালমুড়িতেও তাঁর দুর্বলতা আছে। টানা পনেরো বছর হয়ে গেল, চেনা ঝালমুড়িওয়ালার কাছে গিয়ে সময় পেলেই মুড়ি খান, গল্প জোড়েন। পরিচিতি পেলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিশ্বাস করেন না তিনি। বৃয্টির কলকাতায় বাসের জানলা দিয়ে কলকাতা দেখতে, অটোয় সহযাত্রীর রাজনৈতিক মতামত শুনতে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর যাপনকে নিজস্ব গাড়ির ঘেরাটোপে বদ্ধ করতে মন সায় দেয় না তাঁর।
প্রেম হোক বা প্রতিবাদ , সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মানুষ দু-চার কথা প্রকাশ করতে চাইলে, সবচেয়ে বেশি সার্চ করেন শ্রীজাতর লাইন। যদিও নিজের লেখা নিজেরই মনে থাকে না তাঁর। বলতে গেলে দেখে বলতে হয় তাঁকে। অথচ অনেক সাবলীলভাবেই তিনি শক্তি, সুনীল, গালিব আওড়ান।
ওপেন টু ওয়াল-এ শ্রীজাতর মুখোমুখি মধুরিমা রায়। ভিডিয়োর প্রথম পর্বে দেখুন কী বললেন তিনি...
https://www.youtube.com/watch?v=Ti5tMVXgq7E&feature=youtu.be