
৩৫ ছুঁলেন দীপিকা। রাজস্থানের রণথম্বোরে বসেই হয়তো কেক কেটে উদযাপন করছেন বার্থ-ডে গার্ল। বেড়ে ওঠার শহর বেঙ্গালুরু, আর কাজের শহর মুম্বই থেকে এখন তিনি দূরে। নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। দূর থেকেই শুভেচ্ছা, ভালবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর অনুরাগীরা। আজকের দিনে মুম্বইয়ের বাড়িতে থাকলে হয়তো, বাড়ির সামনে জমে যেত ভিড়।
কয়েকবছরের মধ্যেই তিনি দেশবাসীর কাছে অতি জনপ্রিয়। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ডিপ্রেশন নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন দীপিকা। দীপিকার কথার সঙ্গে নিজেদের জীবন মেলাতে পারছিলেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। অনেকের কাছেই দীপিকা যেন প্রিয়বন্ধুর মতো। প্রফেশনালি এতদূর পৌঁছেও তাঁর পা রাখা থাকে মাটিতে। এটাই যেন দেশবাসীকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে।
‘ছাপাক’-এর প্রোমোশন চলাকালীন পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটিতে। ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের উপর হামলা চালানোর জন্যে চলছিল প্রতিবাদসভা। সেখানে ছিলেন কানহাইয়া কুমারও। ঐশী-সহ প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রীকে সহানুভূতি প্রকাশ করতে না জানিয়েই উপস্থিত হয়েছিলেন দীপিকা। সেই নিয়েও সারা দেশের মানুষ তাঁর প্রশংসায় ফেটে পড়েছিলেন। তাঁর মনন, তাঁর সাহস নিয়েও কথা উঠেছিল সেসময়।
কাজের এবং ব্যক্তিগত জীবনের চাপে দীর্ঘ মানসিক সংঘাত চলাকালীন তাঁর পাশে ছিলেন অভিনেতা রণবীর সিং। সঞ্জয়লীলা বনশালির ছবিতে অভিনয় করতে করতেই তাঁদের প্রেম শুরু হয়। তিনবছর তিনটে সিনেমা একসঙ্গে জুটি বেঁধে করার পর, তাঁদের চার হাত এক হয়। এখন বলিউডের অন্যতম হট কাপল তাঁরাই।
জন্মদিন কীভাবে পালন করছেন, সেই নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও কিছু জানাননি দীপিকা-রণবীর। তবে গতকালই বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জনদের নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ‘৮৩’। ফের বড় পর্দায় স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যাবে। তাছাড়াও শকুন বাত্রার পরবর্তী সিনেমার জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দীপিকা। এমনিতেই তিনি দেশবাসীর চোখের মণি। তবুও নতুন বছরে কত রকমভাবে তিনি চমকে দেবেন তার আশায় দিন গুনছেন তাঁর অনুরাগীরা।