শেষ আপডেট: 25th March 2025 21:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টল-ডার্ক আর হ্যান্ডসাম-- বলিউডে এই সৌন্দর্যের এই মাপকাঠিতে বোধহয় তিনিই ফিটইন। তাঁর অভিনয়শৈলী, স্ক্রিন প্রেজেন্স ও একই সঙ্গে প্রেম জীবন নিয়ে আজও চর্চা চলে প্রতিনিয়ত। তিনি যে শেহেনশাহ, তিনি অমিতাভ বচ্চন! রেখা ও জয়া-- তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে আলোচনা উঠলেই এই দুই নামই ঘুরে ফিরে আসে বারেবারে। তবে জানেন কি, অমিতাভের প্রথম প্রেমিকার বাস ছিল এ শহরেই। নাম ছিল মায়া, আর সেই বাঁধন কীভাবে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল? চলচ্চিত্র ঐতিহাসিক অর্থাৎ ফিল্ম হিস্টেরিয়ান হানিফ জাভেরি শেয়ার করেছেন এমনই কিছু অজানা তথ্য। প্রকাশ্যে এনেছেন মায়ার পরিচয়ও।
তখনও অমিতাভ স্টার হননি। কাজের জন্য এসেছিল কলকাতায়। মাসে মেরেকেটে পেতেন আড়াইশ তিনশ। সেই সময়েই মায়া আসে তাঁর জীবনে। এক ব্রিটিশ বিমান সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মায়া। দু'জনেই দু'জনকে খুবই ভালবাসতেন, জানাচ্ছেন জাভেরি।
হঠাৎ করে অমিতাভের জীবন মোড় নেয় অন্যদিকে। কাজের খোঁজে তিনি চলে আসেন মুম্বই। মা তেজি বচ্চনের ভাই নীরু মামার কাছেই থাকতে শুরু করেন অমিতাভ। মায়াও আসতে শুরু করেন সেখানে। নীরু মামা মায়ের চেনা, যদি বলে দেয় এই প্রেমের কথা! ভয়ে বাসাবদল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন অমিতাভ।
জাভেরির কথায়, "সে সময় আনওয়ার আলির 'সাত হিন্দুস্থানি'তে কাজ করছিলেন অমিতাভ। অভিনেতা জালাল আঘা অভিনেতা মেহমুদের বাড়িতে থাকার বন্দোবস্থ করে দেন। অমিতাভ চলে আসেন।" সমস্যার সূত্রপাত তখন থেকেই। অন্তত জাভেরির দাবি খানিক এমনটাই। তাঁর কথায়, "অমিতাভ সে সময় ভীষণ লাজুক ছিলেন। মায়া ছিলেন ভীষণ বোল্ড। মাঝে মধ্যেই অমিতাভের সঙ্গে প্রকাশ্যে ফ্লার্টও করতেন। মেহমুদের ভাই আনওয়ার আলি ও আগা এই গোটা বিষয়ে বেশ অস্বতিতে পড়ে যান"। আর এই আন ওয়ার আলিই অমিতাভকে একদিন বলেই ফেলেন, 'এই মেয়ের সঙ্গে সারাজীবন কাটানো অসম্ভব হবে। ও বচ্চন পরিবারে মানিয়ে নিতে পারবে না। সরে এস। আনওয়ারের কথা ফেলতে পারেননি অমিতাভ। হয়ে যায় তাঁদের বিচ্ছেদ। আজ মায়া কোথায় কেউ জানেন না! অমিতাভ কি দেখলে চিনতে পারবেন আজও?