দ্য ওয়াল ব্যুরো: অমিতাভ বচ্চন শুধু বিখ্যাত অভিনেতা নন, নিজের জীবনের নানা গল্প ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভালবাসেন। কখনও শৈশবের কথা বলেন, কখনও প্রথম চাকরি বা সিনেমার পেছনের ঘটনা। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও তিনি বারবার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। স্ত্রী জয়া বচ্চন, ছেলে অভিষেক বচ্চন এবং পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই—বচ্চন পরিবারের এই সদস্যদের সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার কথা বলেছেন তিনি। তবে অনেকেই জানেন না, অমিতাভের ছোট ভাই অজিতাভ বচ্চনের স্ত্রী রামোলা বচ্চনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল জয়ার সঙ্গে পরিচয়ের আগেই।

রামোলা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “অমিতাভ এবং আমি তখন থেকেই বন্ধু, যখন আমরা দু’জনেই অবিবাহিত ছিলাম। তখন আমি অজিতাভকেও চিনতাম না।” অমিতাভ তখন কলকাতায় কাজ করতেন। সেই সময় তাঁদের পরিচয় হয়। পরে অমিতাভই রামোলার সঙ্গে তাঁর ভাই অজিতাভের আলাপ করিয়ে দেন। সেখান থেকেই শুরু হয় প্রেম ও পরবর্তী সময়ে বিয়ে।

অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন তাঁর আত্মজীবনী ‘In the Afternoon’-এও এই সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অমিতাভ, অজিতাভ এবং রামোলার দেখা হয়। অমিতাভ ও অজিতাভের কোনও বোন ছিল না, তাই রাখির দিন রামোলাই তাঁদের রাখি পরাতেন।

রামোলা বলেন, “ওটা ছিল একেবারে খাঁটি বন্ধুত্ব। তখন অমিতাভের সিনেমায় আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু মনে মনে হয়তো ইচ্ছে ছিল।” রামোলা আরও জানান, “অমিতাভ একজন পারিবারিক মানুষ। পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা, সব অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া—সব সময়ই ওর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যখন কোনও বিশেষ দিন থাকে, তখনও ও যোগাযোগ রাখে। আমাদের সন্তানেরাও ওর সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে যায়।”

১৯৭৩ সালে রামোলা এবং অজিতাভ বিয়ে করেন। তাঁদের চার সন্তান—ভীম, নম্রতা, নয়না ও নীলিমা। রামোলা পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী। তাঁর নিজস্ব ইভেন্ট কোম্পানি রয়েছে—‘Ramola Bachchan Concepts’। তবে এই পারিবারিক সম্পর্কে একসময় চির ধরেছিল। ১৯৮৭ সালের বোফর্স কেলেঙ্কারিতে অমিতাভের নাম জড়ালে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। তদন্তের আওতায় আসে অজিতাভের কোম্পানিও। তবে পরে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি কেটে গিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।