শেষ আপডেট: 21st October 2024 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তারকা মানেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আসে উঠে লাইমলাইটে। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই নেহা কক্করও। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা তিনি। তবে প্রতি মুহূর্তে তাঁকে বিভিন্ন ট্রোলের মুখে পড়তে হয়। তাঁকে নিয়ে প্রথম থেকেই নানান চর্চা তুঙ্গে। নেহা ইন্ডিয়ান আইডল নামের একটি পরিচিত রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক। সেখানে তিনি প্রায় প্রতিদিনই এমন কিছু কাণ্ড করে বসেন, যার জন্য বিরক্ত অধিকারংশ নেটিজেন।
নেহা কক্কর কখনও বডি শেমিং-এর শিকার, কখনও আবার তাঁর রিয়্যালিটি শোয়ে কাণ্ড দেখে অনেকেই বিরক্ত। ইন্ডিয়ান আইডলের সঙ্গে তাঁর বহু বছরের সম্পর্ক। সেখানেই তাঁকে কথায় কথায় কাঁদতে দেখা যায়। যখনই কেউ তাঁদের জীবনের অতীত নিয়ে কথা বলেন, তখনই গায়িকাকে কাঁদতে দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কেঁদে ফেলার প্রচুর ভিডিয়ো ভিডিও ভাইরাল হয়। তা নিয়ে মিম ও ট্রোলও কম হয় না। বিভিন্ন প্রতিযোগীরা বহু দূর থেকে বহু কষ্ট করে এই মঞ্চে এসে পৌঁছান। তারপরে তাঁদের স্ট্রাগলের গল্প বলেন। সেই গল্প শুনেই কেঁদে ভাসিয়ে ফেলেন নেহা। এমনটা একাধিকবারই দেখা গিয়েছে। তিনি সব সময় বলেন, 'কষ্টের দিনগুলো ভুলে গেলে চলে না। সব সময় মনে রাখা উচিত। এগুলোই তো সাধারণের কাছে অনুপ্রেরণা।'
তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, 'যে জায়গা থেকে উঠে এসে এত পরিচিতি পেয়েছি। তা আমি কোনও দিনই ভুলে যেতে চাই না। কষ্ট করলে তবেই তো মানুষ স্বপ্ন দেখতে শেখে।' সেক্ষেত্রে অনেক সময় নেটিজেনদের এমনটা বলতে দেখা যায়, 'সকলের গল্পেই কি হাউ-হাউ করে কাঁদতে হয়?' এই প্রশ্ন নিয়ে কখনওই মুখ খোলেননি নেহা। তবে এতেও ট্রোল থেকে নিস্তার পান না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই ট্রোলিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, 'শৈশবে এক ঘরে বারো জনের সঙ্গে থেকে বড় হয়েছি। পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। গান গেয়ে কোনও মতে সামান্য রোজগার করতেন পরিবারের অনেকেই। সঙ্গে করে আমাকেও নিয়ে যাওয়া হত। কখনও ভাবতেও পারিনি আমাকেও লোকে ভালবাসবে, চিনবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তাই যখনই কাউকে আমি তার অতীতের কথা বলতে শুনি। আমার খুব কষ্ট হয়। মনে হয়, আমিও এভাবেই তাঁদের মতো দিনের পর দিন স্বপ্ন দেখেছি গায়িকা হওয়ার। মনে মনে ভাবতে থাকি, যেন তাঁদের সব ইচ্ছে পূরণ হয়। তাই হয়তো চোখে জল চলে আসে। অনেকেই মনে করেন আমি এভাবে টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এমনটা মোটেই নয়।'