Date : 17th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
IPL 2025: কেকেআরের প্লে অফ স্বপ্ন ভেস্তে দিতে পারেন বরুণদেব 'এন' শব্দের দিকে চলে যাচ্ছিল! ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে ফের মুখ খুললেন ট্রাম্প, কী বোঝাতে চাইলেনমোদীর পাকিস্তান-বিরোধী কূটনীতির রেসে এক ঢিলে দুই ঘোড়া মাত, নেই রাহুল, তৃণমূলটুরিস্ট ভিসায় পাঁচ বছর! ডানকুনি থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি, বেআইনিভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগলোকজন ‘মুরগির পা’ বলে ডাকত, বলত ‘বুক নেই’! এখন বলে সার্জারি করিয়েছি’: অনন্যা পান্ডেSSC: কোনও অন্তঃসত্ত্বাকে আটকে রাখা হয়নি, প্রমাণ 'শুনিয়ে' পুলিশের দাবি ওড়ালেন চাকরিহারারাগরমে পাহাড় টানছে? মাত্র ৫ হাজার টাকায় ঘুরে আসুন দার্জিলিং থেকে, শুধু মাথায় রাখতে হবে এই কয়েকটি বিষয়ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ পিস পিস করে কেটে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! গ্রেফতার সহকর্মীদুষ্কৃতীরা খুন করেছিল, মালদহের সেই দুলালের স্ত্রীর হাতেই জেলার দায়িত্ব দিলেন মমতা১৩ হাজার কোটি জালিয়াতির অভিযোগ! ইডির হাতে গ্রেফতার কলকাতার সরকারি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন আধিকারিক
Nana Patekar Indian Army

অভিনেতা নানা পাটেকরকে কে না চেনে! বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন কার্গিল যুদ্ধে, বসেন কর্নেল পদে

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সীমান্তে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকর। পরে সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন তিনি।

অভিনেতা নানা পাটেকরকে কে না চেনে! বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন কার্গিল যুদ্ধে, বসেন কর্নেল পদে

নানা পাটেকর

শেষ আপডেট: 10 May 2025 18:29

দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দি ও মারাঠি সিনেমার দুনিয়ায় নানার নাম পরিচিত তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য। তবে এই অভিনেতা শুধু রুপোলি পর্দার নন, দেশের জন্য সত্যিকারের এক যোদ্ধাও বটে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে সীমান্তে দাঁড়িয়ে দেশের জন্য কাজ করেছিলেন তিনি।

nana

১৯৫১ সালে জন্ম নেওয়া নানা পাটেকরের সিনেমায় যাত্রা শুরু ১৯৭৮ সালে 'গমন' ছবির মাধ্যমে। ‘পরিন্দা’, ‘প্রহার’, ‘অঙ্গার’, ‘সালাম বম্বে’, ‘তিরঙ্গা’-র মতো একাধিক ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে ৯০-এর দশকে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা। তিনবার জাতীয় পুরস্কার জেতা এই অভিনেতা দেশপ্রেমে বিশ্বাসী। আর তারই এক নজির তিনি রেখে গিয়েছেন কার্গিল যুদ্ধে অংশ নিয়ে।

nana

‘প্রহার’ সিনেমার প্রস্তুতির সময় তিনি তিন বছর ধরে কঠোর ট্রেনিং নেন মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির কাছে। এই অভিজ্ঞতা তাঁর মনে গভীর দেশপ্রেম জাগায়। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঠিক করেন, বাস্তবেও দেশের পাশে দাঁড়াবেন।

pataekar

সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, শুরুতে সেনা কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। তবে হাল ছাড়েননি নানা। তিনি তখনকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজকে ফোন করেন। নিজে প্রশিক্ষণের কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কবে যেতে চাও?”

patekar

অগস্ট ১৯৯৯-এ ভারতীয় সেনার সম্মানসূচক ক্যাপ্টেন হিসেবে নানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ড্রাস, কুপওয়াড়া, বারামুলা, সোপোর এবং মুঘলপুরার মতো উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সীমান্তে টহল দেন তিনি। সামরিক হাসপাতালে সাহায্যও করেন। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে একবার বলেন, “শ্রীনগরে যাওয়ার সময় ওজন ছিল ৭৬ কেজি, ফিরে এলাম ৫৬ কেজি হয়ে।”

nana

পরবর্তীকালে তাঁকে ক্যাপ্টেন থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। আবার ফিরে আসেন সিনেমায় এবং দেন একের পর এক সফল ছবি। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর অবদানের পাশাপাশি তিনি খরা-পীড়িত কৃষকদের সাহায্য করতে গড়ে তোলেন 'নাম ফাউন্ডেশন' নামের একটি এনজিও। 


ভিডিও স্টোরি