শেষ আপডেট: 4th July 2024 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্ষা মানেই রোমান্স! শুধু বাংলা কেন পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই প্রেমের উপখ্যানে বর্ষার দৃশ্য, গান, কবিতা বার বার এসেছে।
বাংলা ও হিন্দি ছবিতেও প্রেম-রোমান্সের দৃশ্যে কত বৃষ্টিতে যে ভিজেছে ইয়ত্তা নেই। নয়ের দশকের এক্কেবারে শেষে এরকমই একটি বর্ষা ও প্রেমের গান দোলা দিয়েছিল আসমুদ্র হিমাচলে। দহেক ছবির সেই গান ছিল—শাওন বরসে তরসে দিল/কিউ না নিকলে ঘরসে দিল..। এ গানের সুরে এমনই একটা রোমান্টিকতা ছিল যে ২৫ বছর পরও তা অমলিন। এই বর্ষাতেও ইউটিউব বা গানা ডট কমে হয়তো লক্ষ লক্ষ মানুষ তা শুনছেন। হয়তো বা এফএম-এ বাজছে।
দহেক ছবিতে হিরো ছিলেন অক্ষয় খান্না। আর নায়িকা ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে। অক্ষয় ওরফে সমীরের সঙ্গে সেই প্রথমবার দেখা হবে সোনালি তথা নীলিমার। দু’জনে সাজুগুজু করে স্নো পাউডার মেখে তৈরি। ওদিকে অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। তাঁদের এই তৈরি হওয়া থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাক্ষাৎ -এই সবটা জুড়ে ছিল গানটি।
আদেশ শ্রীবাস্তব ও আনন্দ-মিলিন্দের সুরে এই গানটি গেয়েছিলেন হরিহরণ ও সাধনা সরগম। গানটি লিখেছিলেন মজরুহ সুলতানপুরী। হিন্দি গান হলেও হরিহরণের এই গান দক্ষিণ ভারত জুড়ে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
তবে এই গানের শ্যুট নিয়ে একটা মজার গল্প রয়েছে। ছবির পরিচালক ছিলেন লতিফ বিন্নি। চিত্রনাট্যও তিনিই লিখেছিলেন। লতিফ গানটি রেকর্ড হওয়ার পর এতটাই আহ্লাদিত ছিলেন যে পণ করেছিলেন, বৃষ্টির মধ্যেই শ্যুট হবে। নকল বৃষ্টিতে নয়।
কিন্তু চিত্রনাট্য অনুযায়ী এই দৃশ্যে এমন বৃষ্টি হওয়ার কথা যে চারিদিক সাদা হয়ে যাবে। তা আবার নকল বৃষ্টিতে সম্ভব নয়। লতিফ তিনটি বর্ষা ধরে এই গানের দৃশ্যের শ্যুট করেছিলেন। ফলে ছবি মুক্তি পেতে সেই কারণেই দেরি হয়।
তবে কথায় বলে পরিশ্রমের ফল মধুর হয়। লতিফেরও তাই হয়েছিল। একটি গানের শ্যুটে এত দিন সময় নেওয়া বৃথা যায়নি। এই একটি গান ও তার দৃশ্য দহেক ছবিকে বক্স অফিসে হিট করে দিয়েছিল। সেই গান আজও হিট। প্রতি বর্ষাতেই ফিরে ফিরে আসে।