ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম কাহিনি এক অনন্য অধ্যায়। রুপালি পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কিং’ ও ‘ভেনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’-র প্রেম ছিল ঠিক সিনেমার মতোই নাটকীয়।
দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম
শেষ আপডেট: 22 May 2025 20:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম কাহিনি এক অনন্য অধ্যায়। রুপালি পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কিং’ ও ‘ভেনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’-র প্রেম ছিল ঠিক সিনেমার মতোই নাটকীয়। এতদিন ধারণা ছিল, একে অপরকে ভালবেসেও তাঁরা আলাদা হয়ে যান মধুবালার বাবার সঙ্গে দিলীপ কুমারের আইনি বিরোধের কারণে। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মুমতাজ সামনে আনলেন আরও এক সত্য।
সাংবাদিক বিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেন, “মধুবালাদি আমাকে বলেছিলেন, ‘মুমতাজ, জীবনে যদি কাউকে ভালবেসে থাকি, সে হল ইউসুফ (দিলীপ কুমার)। কিন্তু যখন ও জানতে পারে আমি মা হতে পারব না, কারণ আমার হৃদরোগ আছে... ডাক্তার বলেছিলেন সন্তান ধারণ করলে আমি অপারেশন টেবিলেই মারা যাব। তখন ও (দিলীপ) বুঝে গিয়েছিল…’।
মুমতাজ আরও জানান, মধুবালার তখন শরীর অত্যন্ত খারাপ ছিল। “আমি ওঁকে দেখতে যেতাম। ও বলত, দেখো কেমন কফ বেরোচ্ছে। ভীষণ দুর্বল ছিল ও,” বলেন মুমতাজ।
যদিও তাঁদের প্রেম শেষ হয়েছিল, একে অপরের প্রতি সম্মান কখনও হারাননি তাঁরা। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া কিংবদন্তি ছবি 'মুঘল-এ-আজম'-এ তাঁদের রসায়ন ছিল নজরকাড়া। পর্দায় সেলিম ও অনারকলির দৃশ্যে যেমন ছিল প্রেম ও যন্ত্রণা, বাস্তবেও তেমনই গভীর ছিল আবেগের দ্বন্দ্ব। এরপর দিলীপ কুমার বিয়ে করেন অভিনেত্রী সায়রা বানুকে। অন্যদিকে, মধুবালা বিয়ে করেছিলেন গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারকে। কিন্তু দীর্ঘ রোগভোগের পর মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে প্রয়াত হন তিনি।