শেষ আপডেট: 8th March 2025 23:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘#মিটু’ আন্দোলনের সময় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের করা যৌন হেনস্থার দুটি ফৌজদারি মামলা খারিজ করল আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ৭ মার্চ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরি) এনভি বনশল জানান, মামলাগুলির অভিযোগের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে আদালত এই মামলা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন দেখছে না।
এই মামলায় প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ওশিওয়ারা থানায়, এবং দ্বিতীয়টি পাঁচ দিন পর। অভিযোগগুলি ২০০৮ সালের মার্চ ও ২০১০ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনার ভিত্তিতে করা হয়। তনুশ্রী দত্ত অভিনেতা নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য, পরিচালক রাকেশ সারাং এবং প্রযোজক আবদুল সামি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে হিন্দি ছবি ‘হর্ন ওকে প্লিজ’-এর শুটিং সেটে তাঁর শালীনতায় আঘাত ও অপমান করার অভিযোগ আনেন।
২০১৯ সালে ওশিওয়ারা পুলিশ আদালতে জানায়, তদন্তে কোনও অপরাধমূলক প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। এই রিপোর্টকে আইনিভাবে বলা হয় ‘বি-সামারি’। যদিও তনুশ্রী দত্ত আদালতের এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করেন।
অবশেষে শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বনশল প্রথম মামলাটি খারিজ করে বলেন, অভিযোগের সময়সীমা অতিক্রান্ত। ২০০৮ সালের ২৩ মার্চের ঘটনার ভিত্তিতে তনুশ্রী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় ২০১৮ সালে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি)-র বিধান অনুযায়ী এই অপরাধের মামলা দায়েরের সর্বোচ্চ সময়সীমা তিন বছর। তাই মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর কোনও মানে হয় না।
দ্বিতীয় মামলাটি ছিল আবদুল সামি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। সেখানেও আদালত জানায়, অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই রায়ের মাধ্যমে বহু আলোচিত এই মামলা শেষ হল। তনুশ্রী দত্তের অভিযোগ আদালতে টিকল না, আর নানা পাটেকরসহ বাকিদের নামও মুক্ত হল এই মামলার দায় থেকে।