শেষ আপডেট: 10th January 2024 13:35
স্বপ্নের নায়ক মিঠুন দা,
আপনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় নেই। পরোক্ষ পরিচয় অবশ্য সেই ছোটবেলা থেকেই। পর্দাতেই আপনাকে দেখেই যতটুকু ভালবাসা, আবেগ, শ্রদ্ধা। কিন্তু আপনার প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়েই বারবার বেরিয়ে এসেছে মানুষ মিঠুন। যাঁর জীবন পরের তরে নিবেদিত। যে মিঠুন আর্তের পাশে, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কাছে মধুসূদন দাদা।
উত্তমকুমারকে টালিগঞ্জ পাড়ার সবাই ডাকতেন 'দাদা' বলেই। মহানায়কের পর তাঁর মতো বাংলায় স্টারডম রয়েছে আর যাঁর, তিনি আপনি মিঠুনদা, মিঠুন চক্রবর্তী। আপনিও হয়ে উঠলেন সবার দাদা। পরে অবশ্য আর একজন 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্থান হয়েছে, ক্রিকেটের মাঠ থেকে রিয়ালিটি শো, দাদাগিরি করে টলিউডের গ্ল্যামারে নাম জুড়েছে তাঁরও। তবু মিঠুন চক্রবর্তীর জায়গাটা কেউই নিতে পারেননি। তাই আপনাকে দাদা বলেই সম্বোধন করছি এই খোলা চিঠিতে। মিঠুন চক্রবর্তীর নামেই ছবি হিট, যা আপনিই পারেন।
সম্প্রতি প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এসভিএফ প্রযোজিত 'কাবুলিওয়ালা' ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে আপনাকে রহমত খান রূপে দেখলাম। ছোট্ট মিনির কাবুলিওয়ালা আপনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কী সাবলীলভাবে হয়ে উঠলেন দর্শকদের কাবুলিওয়ালা। ছবিটা শুরু হতেই দেখলাম, আফগান পিতার কন্যাকে ছেড়ে আসার আকুতি। সে আকুতি মিশে গেল কলকাতায় এসে এক বাঙালি শিশুকন্যার ভালবাসায়। তখন মনে পড়ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আর শ্রাবন্তী মজুমদারের সেই পিতাপুত্রীর দ্বৈত সঙ্গীত
"আয়রে আমার কাছে আয় মামনি
সবার আগে আমি দেখি তোকে
দেখি তো কেমন খোঁপা বেঁধেছিস তুই
কেমন কাজল দিলি কালো চোখে!"
প্রথমেই আসি ছবির পরিচালক সুমন ঘোষের কথায়। সুমন ঘোষ নামটা শিরোনামে উঠে এসেছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জাতীয় পুরস্কার লাভের খবরে। সুমন ঘোষের 'পদক্ষেপ' ছবিতাই সৌমিত্র জাতীয় পুরস্কার পান। অধ্যাপক সুমনবাবুও সেরা বাংলা ছবির পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন। তবে সৌমিত্র বলেছিলেন "আমি যে চারুলতা, সংসার সীমান্তে, শাখা প্রশাখা, ঝিন্দের বন্দীর মতো এত ছবি করে এলাম সেগুলো কি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো অভিনয় ছিল না?" এর উত্তর আমাদের কারও কাছেই ছিল না। 'পদক্ষেপ' দেখার পরও নতুনভাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে আবিস্কার করতে পারিনি। অকপটেই বলছি পরিচালককে। তবে সুমন ঘোষ নামটা কিন্তু টলিউডে জায়গা করে নিল, যখন টলিউডে আর এক ঘোষ ঋতুপর্ণ মধ্য গগনে। দ্বন্দ্ব, কাদম্বরী, নোবেল চোর, বসু পরিবার- একের পর এক ছবি উপহার দিয়েছেন পরিচালক সুমন ঘোষ।
'নোবেল চোর' কিন্তু বেশ ভাল লেগেছিল। সিনেমা হলে টিকিট কেটে দেখতে গিয়েছিলাম। সেই মিঠুন-টানেই। মিঠুন-সুমন একসঙ্গে কাজ 'নোবেল চোর' থেকেই শুরু। ২০১১ সালে যখন রবীন্দ্ৰনাথের নোবেল চুরি নিয়ে উত্তাল বাংলা, তখন মিঠুন সুমনের হাত ধরে এলেন এক সরল সোজা চাষি ভানুর ভূমিকায়। তাঁর নাম ছিল রবি ঠাকুরের নামেই। সে কুড়িয়ে পায় রবীন্দ্রনাথের নোবেল যা সে সরকারকে ফেরত দিতে চায়। এক দশক পেরিয়ে আবার সুমন ঘোষের ছবিতে আপনি। এবারও সেই রবীন্দ্রনাথ কানেকশন। এবার একেবারে রবি ঠাকুরের ছোট গল্প 'কাবুলিওয়ালা', যা আমরা পাঠ্যবইতে পড়েছিলাম। নামভূমিকায় মিঠুন চক্রবর্তীকে ছাড়া কাবুলিওয়ালা ছবি করবেন না, এই প্রতিজ্ঞায় অটল ছিলেন পরিচালক। তাঁর প্রতিজ্ঞা যে কতটা দামী, আপনি ছবিটিতে অভিনয় করার পর তা প্রমাণ হল। সারল্যে ভরা এমন অভিনয় আর কে পারতেন?
তবে তুলনা তো আসেই, বিশেষত যেখানে বাংলাতেই সাদা কালো ছবিতে 'কাবুলিওয়ালা'কে প্রবাদ বানিয়ে গেছেন তপন সিনহা। সেখানে কাবুলিওয়ালা রহমতের ভূমিকায় প্রবাদপ্রতিম ছবি বিশ্বাস। যাঁর আগে বা পরে কারও নাম বসতে পারে না। তাঁর সঙ্গে তুলনার শিকার হতে চান না বলেই মিঠুন চক্রবর্তী কাবুলিওয়ালা হতে চাননি। ফিরিয়ে দেন পরিচালককে। কিন্তু পরিচালকও ছেড়ে দেবার পাত্র নন। শেষমেষ মিঠুন চক্রবর্তী বললেন তিনি কাবুলিওয়ালা সেজে আগে স্ক্রিনটেস্ট দিতে চান। তিনবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা হয়েও মিঠুনদা আপনি যখন এ কথা বলেন, তখন বোঝা যায় আপনার ডেডিকেশন। একজন মানুষ কতদূর মাটিতে পা রেখে চললে এমন কথা বলতে পারেন, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়।
ছোটদের জন্য ছবি আজকাল সে অর্থে হয় না। যেসব ছবি একসময় আমরা দূরদর্শনের ছুটি ছুটিতে দেখে বড় হয়েছি। ঠিক সেইরকম একটা ছবি কাবুলিওয়ালা। তবে একেবারেই নিখাদ ছোটদের ছবিও নয়। ছবির বার্তা ও কিছু বাঁক বদল ছুঁয়ে যাবে বড়দেরও। কাবুলিওয়ালার গল্প তো নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু মূল টেক্সটকে নিজের মতো কিছু জায়গায় আধুনিকীকরণ করেছেন পরিচালক।
যেমন রহমতের জেলে যাওয়ার অপরাধের কারণের সঙ্গে মিনিকে কোনওভাবেই যুক্ত করেননি রবীন্দ্রনাথ। সুমন তা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ একশো বছর আগে দাঁড়িয়ে অতটা সাহসী হতে পারেননি বা তিনি চানওনি। কিন্তু এই সময়ের প্রেক্ষাপটে চিত্রনাট্যের এই বদল যুক্তিযুক্ত। শুধু তাই নয়, জাতপাত, ধর্ম, শ্রেণি বৈষম্য ছবির পরতে পরতে দেখিয়েছেন সুমন ঘোষ। যা এই ছবিটিকে শুধুমাত্র বাবা-মেয়ের বা দুই বন্ধুর গল্পেই আবদ্ধ রাখেনি, ছবিটির আরও অনেকখানি উত্তরণ ঘটিয়েছে।
ছবি বিশ্বাসের পর বলরাজ সাহানি কাবুলিওয়ালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দু'দশক আগে প্রভাত রায় বাংলা টেলিছবি 'কাবুলিওয়ালা' করেছিলেন। যাতে নামভূমিকায় ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেন। তাতে মিনি হয়েছিলেন এখনকার উদীয়মান নায়িকা লহমা ভট্টাচার্য। দুজনের কারওর অভিনয়ই দাগ কাটতে পারেনি। ভিক্টর তো কম গুণী অভিনেতা নন। কিন্তু এখানেই তাঁর সঙ্গে মিঠুনের তফাত। মিঠুন চক্রবর্তী, আপনি যে স্বচ্ছ জলের মতো। যে পাত্রেই আপনাকে রাখা হোক আপনি সেই পাত্রের আকার ধারণ করেন। কাবুলিওয়ালা ছবি জুড়ে দেখলাম শুধু মিঠুনের দুটো ছলছল চোখ। সেখানে আপনার চোখ যেন কথা বলেছে। পিতার অপত্য স্নেহ থেকে বুক ভরা হাহাকার ফুটে ওঠে মিঠুনের চোখের অভিব্যাক্তিতে।
২০২২ সালে দেবের সঙ্গে 'প্রজাপতি' ছবিতে এক অবসরপ্রাপ্ত একা পিতার অভিনয় করেছিলেন আপনি। সেখানেও এক বাবার গল্প। বাবার একাকীত্ব মোচনের কাহিনি। কিন্তু কাবুলিওয়ালার মিঠুন যেন এক দুর্লভ কোহিনূর। বারবার ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর তুলনা হচ্ছে, হবেও। কিন্তু দশ বছর পর আবার যখন কোনও নব্য পরিচালক কাবুলিওয়ালা ছবি করবেন তখন বহু দর্শক বলবেন, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো রহমত হতে পারবে তো! সত্যি, মিঠুন এতটাই এই ছবির দেবতা। আর এই ছবির প্রাণ ভ্রমর ফুলের মতো সুন্দর মিনি ওরফে অনুমেঘা কাহালি। এতটুকু পাকামো করেনি সে। বলেনি কোনও পাকা পাকা কথা। অতি অভিনয়ের ছিঁটেফোঁটা নেই। এরআগে মিঠাই বা বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি সিরিয়ালে অনুমেঘা কাজ করলেও মিনি চরিত্র করিয়ে তার জীবনের বাঁক বদল ঘটিয়ে দিলেন সুমন ঘোষ। অনুমেঘা এতটাই ভাল, যে, টিঙ্কু ঠাকুর ভাল না অনুমেঘা ভাল এ তুলনা অর্থহীন।
তবে একটু উল্লেখ করি, আমার সঙ্গেই এক হলে বসে কাবুলিওয়ালা দেখছিলেন মুনমুন সেন। মুনমুনের স্কুলের সহপাঠী ছিলেন শর্মিলা ঠাকুরের বোন টিঙ্কু ওরফে ঐন্দ্রিলা ঠাকুর। মুনমুন বললেন, অনুমেঘাকে দেখে তাঁর টিঙ্কুর কথা মনে পড়ল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রিজ খেলোয়াড় টিঙ্কু ঠাকুর প্রয়াত হয়েছেন বহু আগেই। কিন্তু অনুমেঘার ঐশ্বরিক অভিনয় হারিয়ে যাওয়া টিঙ্কুকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। এখনও কানে বাজছে অনুমেঘার সেই আকুল ডাক, 'কাবুলিওয়ালা ও কাবুলিওয়ালা'। কাবুলিওয়ালা মিঠুন যে একজন শিশুশিল্পীকে কতটা নিজের বন্ধু করে নেন, তাঁর বাস্তব প্রতিফলন এই ছবিতে দুজনের রসায়ন। সবথেকে বেশি চোখ ভিজে যায়, যখন কাবুলিওয়ালা মিঠুনদা আপনি জেলে যাচ্ছেন, তখন খোঁকিকে বলছেন "আমি শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি"। দুই অসম বয়সী মানুষের এমন চোখের টান, প্রাণের টান, পর্দা থেকে হৃদয়ে এসে বেঁধে।
মিনির মায়ের চরিত্রে নো মেক আপ লুকে সোহিনী সরকার অনবদ্য। পাটভাঙা তাঁতের শাড়ির খসখস আওয়াজে মিলে যাচ্ছিল শাঁখা পলা নোয়ার শব্দ। মঞ্জু দের করা ঐতিহাসিক চরিত্রটিকে ষাটের দশকে ফেলে কী সাবলীলভাবে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করেছেন সোহিনী। অন্যদিকে মিনির বাবার ভূমিকায় আবির চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় ততটাই সুন্দর। রাধামোহন ভট্টাচার্যর থেকে কোনও অংশে কম নয়। তবে হোঁচট খেলাম 'খুশি কি ইদ' গানের অংশে। গানটির সুর করেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। গীতিকার হিসেবে শ্রীজাতও অনবদ্য। তেমনই অনবদ্য গায়কী। কিন্তু মিনির বাবা ইদে গিয়ে কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে হাত তুলে নাচ করছেন, মিনিও সেই সংখ্যালঘু অনুষ্ঠানে হাজির, যা বড় বেশি চটুল লেগেছে। কিন্তু জাভেদ আলি ও ঈশান মিত্রর গানটি খুবই সুন্দর। পরিচারিকার চরিত্রে তপন সিনহার আশা দেবীকে ছুঁতেও পারলেন না গুলশানারা খাতুন। তবে তিনি মন্দ নন। কাঞ্চন মল্লিক বেশ দাপুটে। বড় মিনির চরিত্রে শ্রী ভট্টাচার্যর নির্বাক দৃষ্টি সব কথা বলে দেয়, বোঝা গেল নবাগতা মেয়েটি সুদীপ্তা চক্রবর্তীর যোগ্য ছাত্রী।
পুরনো কলকাতার সেট দারুণভাবে তুলে ধরেছেন তন্ময় চক্রবর্তী। তেমনই ছয়ের দশকের পোশাক পরিকল্পনায় অভূতপূর্ব অভিষেক রায়। শুভঙ্কর ভড়ের ক্যামেরার কাজ চমৎকার।
কাবুলিওয়ালার শেষ দৃশ্য আমাদের সকলের জানা। কিন্তু সেই দৃশ্যকে যেন নতুনভাবে উপস্থাপন করলেন পরিচালক এবং মিঠুন চক্রবর্তী আপনি তুলনাতীত। সেখানে বড় হয়ে মিনি আর কাবুলিওয়ালার কথা মনে করতে পারছে না, চিনতেও পারছে না কিন্তু পনেরো বছর আগের সোনাঝরা দিনের স্মৃতি আগলে বসে আছে জেল ফেরত কাবুলিওয়ালা। ফিরব বললেই ফেরা যায় না যে সময়ে। অলিখিত বাবা-মেয়ের বিচ্ছেদ দেখতে দেখতে গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠে। তবে এই ভুলে যাওয়া শুধুই কি বাবা-মেয়ের মধ্যেকার সম্পর্কেই ঘটে! না। সাদা দাড়ির মিঠুনের ছলছল চোখ মনে করাচ্ছিল আমরা তো অতীতে কত সম্পর্ক ফেলে এসেছি, হারিয়ে ফেলেছি, যাদের নম্বর আজও ফোনের কনট্যাক্ট লিস্টে সেভ করা।
সেসব নম্বরে বহুদিন ফোন করা হয় না, করার উপায় নেই। আর কোনও দিন ফোন আসবেও না। সব হারিয়ে ফেলা সম্পর্কের অব্যক্ত কষ্ট কী করে আপনি মিঠুন চক্রবর্তী নিজের চোখের জলে ধরে রাখলেন? সিট ছেড়ে ওঠা যায় না কাবুলিওয়ালা দেখতে দেখতে। ছবির কিছু অংশ একটু আলগা লাগলেও শেষটা বড় সার্থক। বড় মন ছুঁল। যার রেশ সহজে কাটে না। এখানেই সুমন ঘোষের কাবুলিওয়ালা মিঠুন ঐতিহাসিক হয়ে গেলেন। আর ছবির শেষে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে যখন পর্দায় আবহে এসে পড়ে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর কথায় অরিজিৎ সিংয়ের অমলিন কণ্ঠে
'ভাবো যদি ফিরে যাওয়া যায়'। ওস্তাদের মার শেষ রাতে, আবারও বুঝিয়ে দিলেন অরিজিৎ সিং। যে গান আমাদের ওই গলার কাছে দলা পাকানো কষ্টে প্রলেপ দেয়।
মৃগয়ার সেই কৃষ্ণকালো মিঠুন, যে ছিল মৃণাল সেনের আবিষ্কার, সে যেন শ্রীরামকৃষ্ণের চরণ ছুঁয়ে আজ রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালাতে ঋদ্ধ। যার কাছে আল্লাহ, ভগবান আর মিনির ঠাকুর সবাই এক হয়ে যায়। কে বলবে এই মিঠুনদা আপনি একদিকে দালাল, ফাটাকেষ্ট, ডিস্কো ডান্সারের হিরো, আবার আপনি 'তাহাদের কথা'র সেই জেল ফেরত স্বাধীনতা সংগ্রামী। আবার সেই মিঠুনই প্রজাপতি হয়ে উড়ে সফল কামব্যাকে বক্সঅফিস হিট দেন। তিনিই আবার কাবুলিওয়ালার রহমত হয়ে আমাদের চোখ ভিজিয়ে দেন। মিঠুনদা, এই লেখনী আপনার প্রতি এক ফ্যানবয়ের প্রণাম। আমাদের আলোকিত করে রাখুন এভাবেই।