শেষ আপডেট: 18th June 2024 18:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দাম্পত্য কলহ, শাশুড়ি বৌমার রেষারেষি, সাংসারিক অশান্তি কিংবা স্বামীর পরকীয়া এসব ছাড়াও যে 'ধারাবাহিক' হতে পারে তা বুঝিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। সিনেমাতে যেমন একের পর এক ছকভাঙা গল্পে মন জয় করেছিলেন দর্শকদের, ধারাবাহিকেও নিয়ে এসেছিলেন সম্পূর্ণ নতুন ধারা। সন্ধে হলেই 'গানের ওপারের' সুর বেজে উঠত বাড়িতে বাড়িতে। আর সেই গানের ওপারের অন্যতম মূল চরিত্র 'পুপে'-র হাত ধরেই মিমি চক্রবর্তীর অভিনয়ে হাতেখড়ি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন পুপের চরিত্রের জন্য তাঁকে কোনও অডিশনই দিতে হয়নি। তাহলে কী করে ঋতুপর্ণর নায়িকা হলেন মিমি? সে দিনের স্মৃতিচারণ করে মিমি বলেন, "বুম্বাদার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) বাড়িতে অডিশন হচ্ছিল। আমি গিয়ে দেখি বিশাল লাইন। সবাই সেজে এসেছিল। আমি দেখেই ভাবলাম আমার হবে না।"
ছোটবেলায় নায়িকা হওয়ার সাধ থাকে অনেক মেয়েরই। মিমিরও চোখেও ছিল স্বপ্ন। সেই তাগিদে বারবারই কলকাতায় এসে অডিশন দিতেন। তবে ঋতুপর্ণ ঘোষ এক লাইনও ডায়লগ শুনতে চাননি। অভিনয় করেও দেখাতে বলেননি। মিমির কথায়, "ঋতুদা একটা সাদা শাড়ি আমার গায়ে দিলেন, কাজলটা আমার চোখে ঘষে বললেন আমার পুপেকে পেয়ে গিয়েছি।"
মিমি আরও বলেন, "প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বাইরে এতজন অডিশন দিচ্ছে আর আমাকে একটা লাইনও বলতে হল না। স্বপ্নের মতো লাগছিল সব। তারপর একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তো আলাদাই, ম্যাজিক!"
ঋতুপর্ণ ঘোষের কাজ যাঁরা দেখেছেন এবং তাঁর সাথে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা সকলেই জানেন তিনি পারফেকশনিস্ট। মিমি সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি শাড়ি, চুড়িদার খুব একটা পরতেন না। জামা কাপড় বলতে মিলিটারি শর্টস, ঢিলেঢালা টি-শার্টেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। ঋতুপর্ণ তাঁকে মিমি থেকে পুপেতে পরিণত করতে মাঝে মাঝেই শাড়ি পরিয়ে পুপের মতো হাঁটতে, কথা বলতে বলতেন। মিমির কথায়, "ঋতুদার হাত ধরে শুধু পুপের নয়, অভিনেত্রী মিমিরও জন্ম হয়েছিল।"