শেষ আপডেট: 11th December 2024 20:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন নেপোটিজম নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা চলছে, তখন এই অভিনেতাকে নিয়েও তুঙ্গে ছিল চর্চা। তিনি 'স্টার কিড'। শুধু তারকা সন্তান বললে ভুল হবে, তাঁর গোটা পরিবার সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। এক কথায় তাঁর চেহারাও নজর কাড়া। মহিলারা যে তাঁকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখেন, তা বললে ভুল কিছু বলা হবে না। তবে ক্যারিয়ারে তিনি ফ্লপ। এক কথায় বলিউডের 'ফ্লপ স্টার'।
বাবা-ঠাকুরদা বলিউডের 'হেভিওয়েট' তারকা। অনেক ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। অভিনয় যে খুব খারাপ এমনটা একেবারেই নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের, একটা ছবিও হিট নয়। বক্স অফিসে প্রত্যেক ক'টা ছবিই মুখ থুবরে পড়েছে। গোটা কেরিয়ারে তাঁর একটাও হিট ছবি নেই। শুধুই ফ্লপ আর ফ্লপ।
আশির দশকে শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে বলিউডে হিরো হিসাবে আত্মপ্রকাশ। তারপরেও নেটিজেনের মতে, ইনিই হলেন বলিউডের সবথেকে বড় ফ্লপ হিরো। এতক্ষণে কি একটুও আন্দাজ করতে পেরেছেন, ইনি কে? চলুন দেখে নেওয়া যাক কার কথা বলা হচ্ছে।
হিন্দি ফিল্ম জগতে এই নায়কের কেরিয়ার এগতে পারেনি। অবশেষে তাঁকে এখন আর বড় পর্দায় দেখা যায় না। হয়তো একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন বড় পর্দা থেকে। শেষ পর্দায় দেখা যায় ২০১৮ সালে। ১৩ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারে তিনি ১১টা ফ্লপ ছবি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা আছে। অভিনেতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি।
নীল নিতিন মুকেশের কথা হচ্ছে। বাবা নীতিন মুকেশ জনপ্রিয় গায়ক, ঠাকুরদা মুকেশ-ও কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৮৮ সালে 'বিজয়' ছবিতে শিশু শিল্পী হিসাবে নীলের বড় পর্দায় পা রাখা। টিকে থাকতে পারেননি বলিউডে। অনেকেই এমনটা মনে করেন, নীলের কেরিয়ার পতনের কারণ শাহরুখ খান। বলিউড বাদশার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার পরেই নাকি নীলের কেরিয়ারের পতন শুরু হয়। অবশেষে তিনি বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।