মানসী সিনহা
শেষ আপডেট: 30 April 2025 14:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালির দীপুদা। ঘুরতে গেলে এইটুকুই দৌড় বাঙালির। দীপুদা মানে দিঘা, পুরী আর দার্জিলিং। হাজার বার গেলেও বাঙালির যে তিন জায়গা চিরকালের ভালবাসার। এবার দিঘাতে সমুদ্র বাদেও যোগ হল নতুন আকর্ষণ। পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির এবার দিঘাতেও।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের জগন্নাথ ধামের আজ উদ্বোধন হল দিঘায়। বাংলার মানুষের জন্য নতুন ট্রাভেল স্পট জয় জগন্নাথের নামে খুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অভিনেত্রী পরিচালিকা মানসী সিনহা এই নিয়ে করে বসলেন প্রতিবাদী মন্তব্য।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবার জমায়েত আজ দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরে। কিন্তু বামপন্থীমনা মানসী এই দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনে কোন উৎসাহ খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগেই ঘুরে এলাম পুরী থেকে। সব জায়গার তো একটা মাহাত্ম্য আছে। নীলমাধব ওখানে অধিষ্ঠান করেন। আমায় যদি দিঘা যেতে হয় তাহলে সমুদ্রে নামব, মন্দিরে গিয়ে কেন সময় নষ্ট করব? জগন্নাথ পুরীতে আছেন। তিনি সব দেখছেন। সব জায়গার তো একটা মাহাত্ম্য আছে! সব কিছু নিয়ে ছেলেখেলা? দিঘা শুধু তথ্য-সংস্কৃতি-পর্যটন কেন্দ্র ছিল। যা খুশি তাই করলেই হল?'
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া উড়িয়ে দিয়ে মানসী আরও বলেন, 'আমার যদি একান্তই খুব ইচ্ছে হয়, তাহলে আমি খিদিরপুরের জগন্নাথ মন্দিরটায় যাই। জগন্নাথকে নিয়ে কত ইতিহাস, কত মহিমা। তিনি পুরীতেই তো আসল। চারধামের একটা পুরীর মন্দির। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম, অনেকেই বলছেন জগন্নাথ সমুদ্রে ভেসে এসেছেন, কেউ আবার বলছেন, শ্রী চৈতন্য নাকি হেঁটে আসবেন সমুদ্রের ওপর দিয়ে? এগুলোকে ইয়ার্কি বলে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ঈশ্বরপ্রেমে জগন্নাথ জগন্নাথ করতে করতে লীন হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে পুরীর যে সম্পর্ক সেকথা ভোলার? আর সমুদ্রে নাকি তিনি ভেসে এসেছেন? ধর্মের নামে চ্যাংড়ামি, এগুলো একদম বরদাস্ত করার নয়।’
মানসী সিনহার স্পষ্ট কথা দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেখেলা। এর মধ্যে জগন্নাথ দেবের কোন মাহাত্ম্য নেই। তাই এই মন্দিরের আধ্যাত্মিক মহিমা নেই অভিনেত্রীর কাছে।