শেষ আপডেট: 3rd February 2025 18:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নয়ের দশকে মমতা কুলকার্নি (mamta kulkarni) ছিলেন ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’। বোল্ড ফটোশুট, আইটেম ডান্স নম্বরে শরীরী আবেদন কিংবা হালকা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তিনি কাঁপিয়েছেন বলিউড। তারপর হঠাৎ করেই একেবারে বেপাত্তা। তারপর উঠল তাঁপ বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ। যদিও সে সবে পাত্তা দেননি তিনি, বলেছেন ‘আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট’। আর এ বছর মহাকুম্ভ মেলায় একেবারে দুধ স্নান সেরে সন্ন্যাস নিয়ে ফেললেন মমতা কুলকার্নি।
সম্প্রতি নয়ের দশকে তাঁর বিতর্কিত অর্ধনগ্ন ফটোশুট নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। শুধু তাই নয় ‘ঘাতক’-এর আইকনিক আইটেম গান ‘কোই জায়ে তো লে আয়ে’ নিেয়ও কথা বলেন তিনি।
‘আপ কি আদালত’ নামক এক শো-এ এসে মমতা বলেন যে, এক সময়ে এক জনপ্রিয় ফিল্ম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁকে যেভাবে দেখা গিয়েছিল তার মধ্যে অশ্লীল কিছু দেখেননি। তিনি ব্যখ্যা করে বলেন, তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি। ম্যাগাজিনের লোকজন, আমায় ডেমি মুরের একটি ছবি দেখায়, যা আমার অশ্লীল মনে হয়নি। আমি সেই সময় এই বিবৃতিও দিয়েছিলাম, আমি ভার্জিন এটা মানুষ তখন হজম করতে পারেনি, কারণ তাদের মতে, বলিউডে ঢোকার জন্য সব কিছু করতে পারে মানুষ। টাকার জন্য হয়তো কেউ কেউ এটা করতে পারে তবে আমি করিনি। আমার বাবা ৩৫ বছর ধরে একজন ট্রান্সপোর্ট কমিশনার ছিলেন। আমি যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, তাই আমি জানতাম না যে নগ্নতা ঠিক কী! যৌনতা সম্পর্কে সচেতন না হলে, আপনি নগ্নতাকে অশ্লীলতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন।’
মমতাকে বেশ কিছু বোল্ড লিরিক্সে নাচতে দেখে গিয়েছিল এক সময়ে, সেই প্রসঙ্গে মমতা (mamta kulkarni) বলেন, ‘মাধুরী দীক্ষিত বা অন্য কেউ, নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। আমরা গানের কথা বা লাইন শুনি না। আমাদের একমাত্র মনোযোগ থাকে ডান্স স্টেপে। আমি কখনও গানের কথায় মন দিইনি।’ এখানেই থামেননি মমতা, সানি দেওল অভিনীত ‘ঘাতক’ ছবির বিখ্যাত আইটেম গান ‘কোই জায়ে তো লে আয়ে'-এ কেন রাজি হয়েছিলেন, তার কথাও বলেন, ‘আমি তখন শাহরুখ-সলমনের সঙ্গে ওয়ার্লড টুর করছি। পরিচালক রাজ কুমার সন্তোষী এই ডান্স নম্বরটি করার অনুরোধ করেন। ছবিটি নাকি সাত বছর ধরে আটকে ছিল, কারণ ছবির নায়িকা মীনাক্ষী শেষাদ্রি বিয়ে করেছিলেন এবং ছবিটি বিক্রি হচ্ছি না। আমি গানটিতে এমনভাবে নাচি, ঠিক যেভাবে আমি কোনও স্টেজ শো-তে পারফর্ম করে থাকি, আর আমি ভালো ছিলাম।’
মহাকুম্ভে সন্ন্যাস নেওয়ার পর থেকেই চর্চায় ছিলেন মমতা কুলকার্নি (mamta kulkarni)। মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ তোলেনন। শুধু তাই নয়, এক বিবৃতি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় মমতা একা নন, তাঁর সঙ্গে বহিষ্কার করা হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও। ঋষি অজয় দাসের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই মমতাকে আখড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকী, তাঁর অজান্তেই মমতাকে মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যাতে আখড়ার নিয়মভঙ্গ হয়েছে!