শেষ আপডেট: 4th January 2025 16:15
দ্য ওয়াল: ফাহাদ ফাসিল (Fahadh Faasil), তাঁর অসামান্য অভিনয়ের ছাপ পড়ছে প্রতিটি ছবিতেই। মালায়ল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফাহাদ একেবারে ‘জবরদস্ত’ স্টার! ডাকসাইটে অভিনেতাকে ‘পুষ্পা লাইট’ বলা যেতেই পারে। কারণ, তিনিও যে আল্লু অর্জুনের মতোই একেবারে ‘ফায়ার’ তা জেনে গিয়েছে দর্শক। শুধু ‘পুষ্পা’ নয়। ‘আভেশম’ ছবিতে তাঁকে দেখার পর চোখ ফেরাতে পারেনি দর্শক। ‘পুষ্পা’র (Pushpa 2)আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বুগেনভিল্লা-তেও নিজের ছাপ অক্ষত রেখেছেন ফাহাদ। এমনই এক দক্ষ অভিনেতার (Fahadh Faasil) জীবনের অজানা দিকও রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক তেমনই ফাহিলের ১০ জীবনগল্প!
Attention-deficit/hyperactivity disorder বা ADHD-এ আক্রান্ত ফাহাদ। পিস ভ্যালি স্কুলের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। নিজের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত অন্যের দৃষ্টি আর্কষণ করার প্রবণতা দেখা যায় কিংবা সর্বত্র মধ্যমণি হয়ে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক চিকিৎসকের কাছে প্রতিকারের উপায় জানতে চান ফাহাদ। চিকিৎসক জানান, ছোটদের ক্ষেত্রে সহজেই এডিএইচডি রোগের চিকিৎসা করা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্যে নেওয়া উচিত। আবার কোনও ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজনও নেওয়া হয়।
মালয়ালম ছাড়া অন্য ভাষায় অভিনয় মাত্র পাঁচটি ছবিতে করেছেন। ফাহাদ ফাসিল তামিল সিনেমা, ‘বিক্রম’ ‘সুপার ডিলাক্স’ এবং ‘ভেলাইক্কারান’-এ অভিনয় করেছেন এবং তেলগু ছবি ‘পুষ্পা’ এবং ‘পুষ্পা-২’তে অভিনয় করেছেন। ফাহাদ অন্য ভাষায় কাজ করতে দ্বিধাবোধ কারণ তিনি মনে করেন এখনও অন্য ভাষায় অভিনয় করতে প্রস্তুত নন। জন্মসূত্রে কেরালাইট, স্বাভাবিকভাবেই মালয়ালম ভাষায় তিনি সাবলীল তাই তামিল বা অন্য কোনও ভাষায় কাজ করা স্বাভাবিকভাবে অভিনয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। অভিনেতা মনে করেন যে স্ক্রিপ্টটি তার ভাষায় (মালায়ালম) অনুবাদ করে সেটা পড়ে তারপর অভিনয় করা বেশ কঠিন!
ইন্টারনেটে সার্ফ করার পরও, আপনি ফাহাদ ফাসিলের সাক্ষাৎকার বা প্রচারমূলক কোনও ইভেন্টের ভিডিও অল্প সংখ্যকই পাবেন। কারণ ফাহাদ কোনও সিনেমার সম্পর্কে কথা বলার সঠিক সময় ঠিক কখন তা বুঝে উঠতে পারেন না। মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন ফাহাদ। একটি ভিডিও চ্যাটে, অভিনেতা বলেন যে একটি ফিল্মের নিখুঁত অনুভূতি বুঝে উঠতে এক বছর সময় তাঁর দরকার পড়ে, এবং সে কারণেই ছবি সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলেন না তিনি।
কেরিয়ারের শুরুটা একেবারেই ভাল ছিল না ফাহাদের। বাবা ছিলেন ফিল্মমেকার, মালয়ালাম ছবিই করতেন। তার বাবা ফাজিলের পরিচালিত ছবিতেই হয়েছিল অভিষেক। মুখ থুবড়ে পড়েছিল ছবি। ছবির নাম ছিল, ‘কাইয়েথাম দুরাথ’। তবে, এতে হতাশ হননি ফাহাদ। সাত বছরের বিরতির পর, ফাহাদ ২০০৯ সালে একটি মালায়ালাম অ্যান্থোলজি ফিল্মের মাধ্যমে এক দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন। উদয় অনন্তান পরিচালিত সেগমেন্টে তার অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস (সাউথ), SIIMA, কেরালা স্টেট অ্যাওয়ার্ডস এবং আরও অনেক সম্মান পেয়েছেম ফাহাদ! শুধু তা-ই নয় সর্বোচ্চ অর্থপ্রাপ্ত মালায়ালম অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম, ফাহাদ ফাসিল। IMDb-এর মতে, তিনি ৬-১০ কোটির দাবি রাখেন, যা তাঁকে মোহনলাল, মামুট্টি, পৃথ্বীরাজ এবং দুলকার সালমানের পরে পঞ্চম সর্বোচ্চ এক্সপেনসিভ অভিনেতা করে তোলে।
ফাহাদকে বন্ধুরা ডাকে ফাফা বলে, নামটি ফাহাদ ফাসিল নামের সংক্ষিপ্ত রূপ। ফাহাদের ফা এবং ফাসিল-এর ফা। তবে স্ত্রী সহ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরাও তাঁকে ‘শানু’ বলে ডাকেন? তিনি তাঁর প্রথম ছবিতে ‘শানু’ নামই ব্যবহার করতেন।