শেষ আপডেট: 12th November 2021 17:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখনও পর্যন্ত কেউই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। পাত্র-পাত্রী মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই অনুরাগীদের মধ্যে ভিকি কৌশল এবং ক্যাটরিনা কইফের (Katrina-Vicky) বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি এও শোনা গেছে এনগেজমেন্টও নাকি সেরে ফেলেছেন দু’জনে। বলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধছেন ভিকি-ক্যাটরিনা। রাজস্থানের বিলাসবহুল প্রাসাদে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন এই তারকা জুটি।
বিয়েটা ঠিক কবে সেটা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে খবরে ছড়িয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর জেলার ৭০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যশালী এক দূর্গে। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা পোশাক নাকি পরবেন দু’জনেই। দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজনেরা নভেম্বরের শেষেই চলে যাবেন রাজস্থানে। তাঁদের থাকার জন্য ঘর বুকিংও নাকি চলছে।
খবর শোনা যাচ্ছে, ভিকি-ক্যাটরিনা দুজনেরই টিমের লোকজন রাজস্থান গিয়ে দূর্গের সাজসজ্জার বন্দোবস্ত করছেন। হাই প্রোফাইল তারকা জুটির ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বলে কথা, সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত, ঝাঁ চকচকে। আধুনিক ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের দুর্গের ভিন্টেজ লুক আলাদাই চমক আনবে।
আরও পড়ুন: 'কষ্ট করে বড় হয়েছি, বাড়িতে আলাদা রান্নাঘর-বাথরুম ছিল না', বেয়ারের শোয়ে অন্যরূপে ভিকি
বলিউড থেকে হলিউড, সেলিব্রিটিদের এখন পছন্দ ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসের বিয়েও হয়েছিল রাজস্থানে। যোধপুরের ঐতিহ্যশালী উমেদ ভবনে বসেছিল বিয়ের আসর। দীপিকা-রণবীর বেছেছিলেন আল্পস পর্বতের কোলে লেক কোমোর ধার ঘেঁষে ইতালির রোম্যান্টিক ওয়েডিং স্পট ‘ভিলা দেল বলবিয়েনেল্লো’। তবে ভিকি-ক্যাটরিনার বিয়ের জন্য বেছেছেন দেশের মাটিকেই। তাঁদের পছন্দের ভেন্যু রাজস্থানের সুপ্রাচীন বারোয়ারা ফোর্ট।
১৪ শতকে এই দুর্গের প্রতিষ্ঠা করেন চৌহানরা। পরে এই দুর্গের আধিপত্য যায় রাজাওয়াত সাম্রাজ্যের হাতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বারোয়ারা বংশের রাজা মান সিং ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করে দুর্গের আধিপত্য ছিনিয়ে নেন। তিনি রাও বাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন। বর্তমানে এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণ করেন তাঁদেরই বংশধর পৃথ্বীরাজ সিং। স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও শিল্পকলার নিরিখে এই দুর্গ ও তার অন্দরমহল ফাইভ স্টার রেটি্ং পেয়েছে।
সাড়ে পাঁচ একর জমি ওপর তৈরি এই দুর্গের চারপাশ পাঁচ ফুটের বেশি চওড়া দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। তিন মহলা দুর্গটি এখন পাঁচ তারা রিসর্টে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্গের ভেতরের কারুকাজ, তার স্থাপত্যে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
দুর্গারে ভেতরে দুটি বিশাল প্রাসাদ আছে। এই প্রাসাদদুটিতেই থাকার ব্যবস্থা। অনেক মন্দির রয়েছে ভেতরে। সবই রাজপুত রাজাদের আমলে তৈরি।
৪৮টি শোওয়ার ঘর আছে। প্রতিটি ঘর রাজস্থানী ভাস্কর্যে তৈরি। তিনটি রেস্তোরাঁ, ৩০ হাজার বর্গফুটের স্পা , দুটি সুইমিং পুল, ব্যাঙ্কোয়েট হল, ফিটনেস সেন্টার কী নেই দুর্গের ভেতরে। অতিথিদের জন্য আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে।
রণথম্বোর জাতীয় উদ্যান দুর্গ থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে। এই রিসর্টের পাশেই রয়েছে বারওয়াড়া হ্রদ। দুর্গটি এ বছরের অক্টোবরেই জন্য খোলা হয়েছে। রিসর্টের এক দিনের ভাড়া প্রায় ৬৫ হাজার টাকা (কর বাদে)। তবে স্যুটের সৌন্দর্য এবং চাকচিক্যের অনুপাতে ভাড়াও বাড়বে সেটা বলাই বাহুল্য।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'