শেষ আপডেট: 19th March 2022 07:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবার একটা নারীকেন্দ্রিক ছবি। আবার একটা ঝকঝকে উপস্থাপনা। বিদ্যা বালান যে বলিউডের পর্দায় একাই একশো, তার প্রমাণ কাহানি থেকে শুরু করে ডার্টি পিকচার, ছড়িয়ে সর্বত্রই। 'জলসা'তেও (Jalsa Review) আরও একবার তার পরিচয় দিলেন বিদ্যা (Vidya Balan)। একাই দাপিয়ে বেড়ালেন স্ক্রিনজুড়ে। আমাজন প্রাইমের পর্দায় হোলির রঙচঙে আবহে জমে উঠল 'জলসা'।
প্রথম হোলির সোহাগ! সূরজের পায়ে আবির দিলেন মৌনি
তবে বিদ্যা বালান একা নন, শেফালী শাহ (Shefali Shah) আলাদা করে নজর কেড়েছেন সুরেশ ত্রিবেণী পরিচালিত এই ছবিতে। স্ক্রিনে দুই নারীর দাপটই দেখার মতো। তাঁদের জীবন, ছোটখাটো ভুল, সীমাবদ্ধতার অলিগলি বেয়ে একটা সত্যিকে খুঁজে চলে 'জলসা'। পথে সামনে আসে বিদ্যা ওরফে মায়া মেননের মরালিটি, শেফালী ওরফে রুকসানার অসহায়তা।
সুরেশ ত্রিবেণীর প্রথম ছবি 'তুমহালি সুলু'তেও বিদ্যা বালানকেই দেখা গিয়েছিল প্রধান চরিত্রে। 'জলসা'য় মায়া আর রুকসানার মধ্যে দিয়ে তিনি সমাজের দুটো শ্রেণীর মানুষেয সহাবস্থানকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মায়া মেনন একজন সাংবাদিক। খবরের সন্ধানে ছুটে বেড়ানোই তাঁর কাজ। আর রুকসানা তাঁরই বাড়ির পরিচারিকা। মায়ার বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেটির দেখভাল করে রুকসানা। তাঁকে ছাড়া মায়ার সংসার অচল।
এই কাহিনি একটা অ্যাক্সিডেন্টের পিছনে ছুটে বেড়ায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। রাতের মুম্বইতে বাইকে চড়ে ঘুরছিল এক তরুণ যুগল। অন্ধকার যেন গ্রাস করে নেয় তাঁদের। বাইক থেকে ছিটকে পড়া তরুণীর উপর দিয়ে চলে যায় মিডিয়ার গাড়ি। ক্লান্ত চোখের একটা ছোট্ট ভুলে অন্ধকারের জাঁতাকলে ফেঁসে যান বিদ্যাও। জানা যায়, অসাবধানতাবশত রাস্তায় যে মেয়েটিকে তিনি পিষে দিয়ে এসেছেন, সে আর কেউ নয়, তাঁরই বাড়ির পরিচারিকা রুকসানার মেয়ে! হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে।
অপরাধবোধ, আত্ম দংশন কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে থাকে মায়াকে। তবু সত্যিটা সুশীল সমাজের কাছে জানাতে পারেন না তিনি। অপেক্ষায় থাকেন কেস ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার।
এদিকে মেয়ের মারাত্মক এই অ্যাক্সিডেন্টে আঁধার নেমে আসে শেফালী ওরফে রুকসানার জীবনে। তাঁর মতো সমাজের নীচু্স্তরের মানুষ অধিকারের দাবিতে, সত্যের সন্ধানে আর কতটুকুই বা লড়াই চালাতে পারেন! ভরসা তো কেবল ভেজা চোখ। অন্ধকার সেই রাতের সত্যিটা কি সামনে আসবে? বিদ্যাকে কি দিতে হবে তাঁর ভুলের মাশুল? বিচার কি পাবেন রুকসানা? সমস্ত প্রশ্নের জবাব নিয়ে ‘জলসা’র শেষটুকু রুদ্ধশ্বাস এক ক্লাইম্যাক্সে ভরপুর। সমালোচকেরা কেউ কেউ বলছেন, মূল বিষয়বস্তুকে ঘিরে কাহিনিকে ঠিকমতো সাজিয়ে উঠতে পারেননি ‘জলসা’র নির্মাতারা। অনেক ক্ষেত্রেই কাহিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তবে হোলির ছুটিতে বাড়িতে বসে আমাজন প্রাইমের পর্দায় একবার অন্তত দেখে ফেলাই যায় বিদ্যা-শেফালীর এই ডুয়েল। সিনেপ্রেমীরা নিরাশ হবেন না একেবারেই।