শেষ আপডেট: 7th January 2025 16:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরফান খান এমন এক নাম, যিনি কঠিন থেকে কঠিনতর চরিত্রও সহজভাবে পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে পারতেন। তাঁকে কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বাঁধা সম্ভব ছিল না। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি হলিউডেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তবে, এই অনন্য অভিনেতার কাছে বরাবরই বলিউড ছিল তার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি। ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেতা তিনি।
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই থামিয়ে প্রায় চার বছর আগে না-ফেরা দেশে চলে গিয়েছেন ইরফান। তবু আজও দর্শকদের মনে বেঁচে আছেন। চলচ্চিত্র জগতে ইরফান খানের অবদান অনস্বীকার্য, এবং তাঁর কর্মজীবন এখনও অনেকের অনুপ্রেরণা। আজ তাঁর জন্মদিন। ৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা যাক তাঁর নজরকাড়া কয়েকটি সিনেমা।
রাজস্থানে জন্ম নেওয়া ইরফান খানের অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা তাঁকে জাতীয় নাট্য বিদ্যালয় (এনএসডি)-তে নিয়ে যায়। সেখানে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জনের পর টেলিভিশনে ছোট চরিত্র দিয়ে শুরু হয় তাঁর অভিনয়জীবন। প্রথমদিকে নানা চ্যালেঞ্জের সামনে পড়লেও, তাঁর নিষ্ঠা এবং প্রতিভা তাঁকে ধীরে ধীরে ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সিনেমার জগতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
তিনি চলচ্চিত্র জীবনে একের পর এক দুর্দান্ত চরিত্র উপহার দিয়েছেন। তাঁর অভিনীত কিছু আইকনিক সিনেমার তালিকায় চোখ রাখা যাক।
দ্য লাঞ্চবক্স (২০১৩):
এই সিনেমায় তিনি সজ্জন ফার্নান্দেজ নামে এক নিঃসঙ্গ অফিসকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি টিফিনের মাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার সহজ ও আন্তরিক অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা অর্জন করে।
পান সিং তোমর (২০১২):
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই সিনেমায় তিনি একজন অ্যাথলেট থেকে ডাকাত হয়ে ওঠা বাস্তব চরিত্রের জটিল কাহিনি দারুণভাবে তুলে ধরেন।
পিকু (২০১৫):
এই ছবিতে তিনি রানা নামে একজন ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি বাবা-মেয়ের জটিল সম্পর্কের মাঝে ভারসাম্য রাখেন। ছবিটি এখনও সিনেমাপ্রমীদের মধ্যে আলাদা জায়গা করে রেখেছে।
হিন্দি মিডিয়াম (২০১৭):
একজন বাবা, যিনি তাঁর সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য মরিয়া, তার চরিত্রে ইরফানের অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।
অ্যাংরেজি মিডিয়াম (২০২০):
তাঁর শেষ সিনেমা, যেখানে তিনি এক স্নেহশীল বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি মেয়ের পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।