শেষ আপডেট: 8th December 2024 00:01
কলকাতায় একটা আলাদা মাদকতা আছে। বাংলা ভাষা থেকে সংস্কৃতি, কলকাতার জল-হাওয়া থেকে খাবার, যেই আসেন প্রেমে পড়েন বারবার। অকপটে শিকারও করেন। বিদ্যা বালান, অমিতাভ বচ্চন, দিলজিৎ দোসাঞ্জ.. এই সংখ্যাটা অগুন্তি। এবার লিস্টে জুড়ল ইমতিয়াজ আলির নাম। ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষ্যে শহরে এসে তিলোত্তমায় মুগ্ধ পরিচালক। শুক্রবার নন্দনে তাঁর সিনেমা ‘মাই মেলবোর্ন’ ছবি প্রদর্শন শেষে দ্য ওয়ালকে জানালেন শহর নিয়ে তাঁর ভাললাগার কথা। শেয়ার করেন সিক্রেটও।
সেলেব্রিটি শেফ রণবীর ব্রার কলকাতায় এসে প্রেমে পড়েছিলেন বিরিয়ানির। সেকথা বলেছিলেনও বহু জায়গায়। পরে এখানকার বিরিয়ানির রেসিপি ও বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করেছিলেন। কলকাতা বিরিয়ানির এমনই আরেক ভক্ত হলেন ইমতিয়াজ। আমিনিয়া তাঁর ফেভারিট। ওয়ালকে জানালেন, বিরিয়ানির গন্ধে কলকাতায় ভেসে বেরাতে রাজি তিনি। শহরে পা রেখেই আমিনিয়ায় খাওয়া মাস্ট।
বিরিয়ানি ছাড়া কোন খাবার ফেভারিট জব উই মেট পরিচালকের? ওয়ালকে জানান, সে লিস্ট অনেক বড়। রয়েছে ফুচকা, কচুরি, ফ্লুরিজের বিভিন্ন খাবার আরও কত কী। কচুরি মানে তাঁর কাছে উত্তর কলকাতা। ডুবো তেলে ভাজা কচুরির গন্ধ নাকি তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তেল থেকে কচুরি তোলা দেখেই জিভে জল আসে ফিট অ্যান্ড ফাইন পরিচালকের। রোজ ব্রেকফাস্টে বাঙালিদের কচুরি হলে মন্দ হয় না। এমনও জানান তিনি।
ফুচকা নিয়ে জানান, তাঁর এলাকায় গোলগাপ্পা পাওয়া যায়। কিন্তু কলকাতার ফুচকা অসাধারণ। কলকাতা এলেই ফুচকা খেতে ভোলেন না। সঙ্গে ফ্লুরিজে খাওয়া দাওয়াও হয় জমিয়ে। পছন্দের লিস্টে রয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড ঝালমুড়িও।
বাংলা বলতে পারেন না পরিচালক। তাতে কী হয়েছে, ফুচকার সংখ্যা বা বিরিয়ানির আলু, কিছুতেই ঠকানো যাবে না তাঁকে। বাংলা বলতে না পারলেও তিনি বাংলা ভাল মতো বোঝেন।
কলকাতার কথা বলতে গিয়ে তাঁর কথায় উঠে আসে কলকাতার ঐতিহ্য, শিল্পীদের তুলির টান, কুমোরটুলি ইত্যাদির গল্প। কুমোরচুলি গিয়ে শিল্পীদের কাজ দেখে হতবাক হন ইমতিয়াজ। অবাক হয়ে দেখেন মূর্তি গড়ার কায়দা। শিল্পীদের নিপুনতা মুগ্ধ করে তাঁকে। এসব দেখে আবারও প্রেমে পড়েন তিলোত্তমার। আর এই তিলোত্তমার প্রতি প্রেমই হয়তো তাঁকে বাংলায় ফেরায় বারবার। বাংলা নিয়ে বাংলার মাটিতেই ছবি করার অনুপ্রেরণাও জোগায়।