শেষ আপডেট: 24th January 2025 19:40
'রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা'-- মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সদ্য তরুণী এক মেয়ে। এর আগে পরিবারের কেউ নাম লেখাননি অভিনয়ে। তিনিই প্রথম। কালো দীঘল চোখে দেখেছিলেন স্বপ্ন। ইচ্ছে ছিল হিরোইন হওয়ার। পা রেখেছিলেন ছোটপর্দায়। ধারাবাহিকে সুযোগ মিলেছিল বটে, তেমন হিট হয়নি।
কাট টু, শাকিব খান ডেকে পাঠালেন বাংলা দেশে। ছবির নাম প্রিয়তমা। ছবির স্টেটাস সুপারহিট। কাট থ্রি, ডাক পড়ল দেবের কাছ থেকে। ছবির নাম 'খাদান' আর স্টেটাস সুপারডুপার হিট। এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার বাস্তব গল্প। আর সেই গল্পের নায়িকা ইধিকা পাল। বাংলা সিনেমার অক্সিজেন মাস্ক খুলতে সাহস জুগিয়েছে খাদান।ইঁদুর-দৌড়ে সামিল হয়ে আজ তাঁর গন্তব্য দুবাই। প্ল্যান রয়েছে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ারও।
ইতিমধ্যেই দেব ও যিশু চলে গিয়েছেন সেখানে। কিন্তু ইধিকা কেন এখানেই। দ্য ওয়ালকে জানালেন তারিখের সমস্যা। তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই যে তাঁর। দেব রাগ করেননি! গোটা বাংলায় একসঙ্গে প্রচার, আর বিদেশেই হিরোইন বাদ! একচোট হাসলেন। তারপর বললেন, "না না, আমার হিরো খুব সুইট। একটুও রাগ করে না।" শাকিব খানের সঙ্গে পরের ছবির শুটিংও প্রায় শেষ। হাতে একগুচ্ছ কাজ! বিশ্বাস হয় সবটা? কিছুটা থামলেন ইধিকা।
তারপর বললেন, "আমাদের মতো পরিবারে খুব বড় স্বপ্ন দেখতে সবাই ভয় পায়। তারা ভাবতে থাকে চারিপাশের যে অদৃশ্য এক গণ্ডি রয়েছে তার থেকে বেশি স্বপ্ন দেখা নিছক বাড়াবাড়ি। তবে এখন মনে হয়, সেই সীমারেখাটা বোধহয় আমি ভাঙতে পেরেছি। স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো যেন আগামী দিনে আমাকে উদাহরণ হিসেবে রাখতে পারে। গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, 'ও তো পেরেছে, আমি কেন পারব না"।
প্রিয়া সিনেমা হলে যেদিন খাদান ছবির প্রিমিয়ার ছিল হাজির ছিলেন ইধিকার মা-বাবা। চোখ দিয়ে জল পড়ছিল তাঁদের। ইধিকা হয়তো সেদিন মনে করেছিলেন শাহরুখের সেই আইকনিক লাইন, 'আগার কিসি চিজকো পুরি দিল সে...', স্বপ্ন সত্যি হয় তাহলে!