শেষ আপডেট: 12th March 2025 16:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আটের শেষ কিংবা নয়ের দশকের শুরুও হতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার কলোনি পাড়া। পাড়ার রকের আড্ডার জমায়েতে চার বন্ধু। সোমা, টুবাই, বুবান এবং তাতিনের বন্ধুত্ব। বেড়ে ওঠা। পাশে থাকা। পাশে রাখা। সময় এগোয়। আর বড় হয়ে ওঠার এক বড় বোঝায় ভার বাড়তে থাকে। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, রাজনৈতিক-সামাজিক মতাদর্শ, ঠিক-বেঠিক এর পাল্লা ভারি হতে শুরু করে আর দূরে ঠেলতে শুরু করে ছোটবেলার অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বকে। কোনও এক সন্ধেতে আবার কি সেই পাড়ার চায়ের দোকানে তাঁরা আবার বন্ধু হতে পারবে? নাকি যে জানলাগুলোর আকাশের রং নীল ছিল, সেই পাল্লাগুলো চিরতরে বন্ধ হয়ে, জমবে গুমোট অন্ধকার?
পুরনো কলকাতার এক পুরনো গল্প লিখেছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচ্ছদকাহিনী। প্রথম সারির সংবাদপত্রে তা প্রকাশ্যে আসে। সেই গল্পকেই নাট্যরূপ দিয়েছেন ‘ইচ্ছেমতো’। নাট্যদলের তিন সদস্য, দেবীপ্রসাদ, সম্বিত এবং দীপের সহায়তায় সৌরভ পালোধী লেখেন সেই নাটক। আগামী ১০ মে ‘ইচ্ছেমতো নাট্যদল’ ১১ বছরের জন্মদিন উদযাপন করতে চলেছে। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রথমবার অ্যাকাডেমির মঞ্চে সন্ধে সাড়ে ছটায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘যে জানলাগুলোর আকাশ ছিল’।
যিনি এই প্রচ্ছদকাহিনীকে নাট্যরূপ দিয়েচেন এবং নির্দেশক, সেই সৌরভ পালোধী বললেন, ‘বন্ধুত্ব নিয়ে একাধিক সিনেমা হয়েছে, কিন্তু কোনও বাংলা থিয়েটার হয়নি। যাঁরা নাইনটিজ কিডষ যাঁদের জন্ম নয়ের দশকে, তাঁরা আজ খানিকটা হলে বন্ধুত্বহীনতায় ভুগছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্ব কমে গিয়েছে জীবন থেকে। সমাজকে দেখার দৃষ্টিকোণ বদলেও গিয়েছে। জীবনে ঢুকে পড়ে নানা ধরণের রাজনীতি, যাকে বলে একেবারে কড়া রাজনীতি। তাঁরা সকলে এই নাটকটাকে চিনতে পারবে, বলে আমার বিশ্বাস। আমি জানি, তাঁরা সেই পুরনো স্মৃতি পথে হাঁটবে।’
‘যে জানলাগুলোর আকাশ ছিল’তে অভিনয় করছেন রাহুল অরুনোদয় ব্যানার্জী, তূর্ণা দাশ, বিমল চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু সাহা, বুদ্ধদেব দাস ও প্রমুখ। সঙ্গীতের সমস্ত দায়ভার নিয়েছেন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। গায়ক ঋষি পান্ডার ‘জামাইকা ফেয়ারওয়েল’-এর বাংলা সংস্করণ রয়েছে। ‘কেন কান্না পায়’। সেই গানও শোনা যাবে নাটকের দিনে।