Sunaina Roshan
সুনয়না রোশন।
শেষ আপডেট: 14th November 2024 14:22
কেবল খাদ্যাভ্যাস বদলে ৫০ কেজি ওজন ঝরান হৃতিক রোশনের বোন সুনয়না, দূর করেন ফ্যাটি লিভার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে অঙ্কের হিসেবে। কিন্তু ফিটনেস দেখে বা চেহারা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এখনও তরুণ ও নতুন অভিনেতাদের সঙ্গে দুর্দান্ত পাল্লা দেন, বলিউড তারকা হৃতিক রোশন।
কিন্তু এর ঠিক উল্টো মেরুতে অবস্থান করতেন হৃতিকের দিদি, সুনয়না রোশন। ফিটনেস তো দূরের কথা, ওজন তাঁর এতই বেশি ছিল, যে একাধিক রোগ-অসুখ বাসা বেঁধেছিল শরীরে। কিন্তু এক বছরের মধ্যে সেই অধ্যায় কাটিয়ে ফেলেন সুনয়না। ওজন কমান ৫০ কেজি। শুধু তাই নয়, জন্ডিস, গ্রেড থ্রি ফ্যাটি লিভারের মতো শারীরিক সমস্যাও ঝরিয়ে ফেলেছেন ওজনের সঙ্গে সঙ্গে।
আরও পড়ুন
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সুনয়না জানিয়েছেন, বাড়ির খাবার খেয়েই কীভাবে ৫০ কেজি ওজন ঝরালেন তিনি। তাঁর সুস্থতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে কীভাবে ম্যাজিক ঘটিয়েছে ডায়েট।
জাঙ্ক ফুড বাদ
ভিডিওতে সুনয়না জানিয়েছেন, এমন কোনও অস্বাস্থ্যকর খাবার নেই, যা তিনি আগে খেতেন না। পিৎজা হোক বা বার্গার, তাঁর পেট ভরানোর উপকরণ বলতে ছিল কেবলই জাঙ্ক।
সুনয়না আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর কোনও কিছুই আমার শরীরে ঢুকছিল না।’ তবে একটানা এসব খাবার খেতে খেতে বড়সড় জন্ডিস বাঁধান তিনি। এর পরেই সুনয়না খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে বাধ্য হন।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা
শুধু জন্ডিস নয়, ফ্যাটি লিভারও বাসা বাঁধে সুনয়নার শরীরে। এই সমস্যা জন্ডিস রোগীদের জন্য মারাত্মক। ফলে সুনয়না রোশনের শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
ফ্যাটি লিভারের কারণে সমস্ত ধরনের ফ্রায়েড ও স্পাইসি জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় সুনয়নার। এর পর থেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জার্নি শুরু হয় তাঁর।
সুনয়না বলেছেন, গ্রেড থ্রি ফ্যাটি লিভার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা তাঁর জীবনের অন্যতম অ্যাচিভমেন্টগুলির মধ্যে একটি। এখন তিনি গ্রেড ওয়ানে রয়েছেন, সেখান থেকেও সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তিনি।
হার মানা বারণ
সুনয়না তাঁর ভিডিওয় জানান, ‘এতদিনের জাঙ্ক খাওয়ার অভ্যেস ছেড়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে প্রবেশ করা সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। তাঁর মতে, এই অভ্যেস কখনওই নিখুঁত নয়, এর কোনও শেষও নেই। এটা একটা অভ্যেস, একটা জার্নি।
সুনয়নার কথায়, ‘এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালন রোজ যে সমানভাবে হবে, তা নয়। কিন্তু নিজের সেরা সংস্করণটাকে বার করার জন্য যা যা করণীয় করে যেতে হবে মন দিয়ে। দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই এই জার্নি শুরু করতে হবে। কোনও ভাবেই ভয় পেলে বা পিছিয়ে এলে চলবে না। ধৈর্য রাখতে হবে, ভেঙে পড়ার কোনও জায়গা নেই।’
দেখুন ভিডিও।
View this post on Instagram
জরায়ুমুখের ক্যানসারও হার মেনেছে
সম্প্রতি সুনয়না তাঁর সার্ভাইকাল ক্যানসারের কথাও জানিয়েছেন এবং এই নিয়ে মানুষকে সচেতনও করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁর পিরিয়ডের সময়ে জরায়ুমুখের ক্যানসারের সমস্ত লক্ষণ দেখেও উপেক্ষা করেছিলেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘ওই সময়ে আমার একটা বড় কাজ শুরু হয়েছিল। আমি তাতেই মন দিয়েছিলাম। আমার বাবার সঙ্গে ওই কাজটাই তখন আমার প্রথম গুরুত্ব ছিল। তবে সমস্ত পরীক্ষার পর যখন দেখি ক্যানসার, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তবে আমি নিজে ভেঙে না পড়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিই।’
