শেষ আপডেট: 13th November 2024 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেমের ধরন সবসময় মানুষ বিশেষে আলাদা হয়, অভিব্যক্তিও আলাদাই। প্রেম, ভালবাসা মানুষের সঙ্গে মানুষেও সীমাবদ্ধ থাকে না। অন্য ধরনের প্রেম ও চিরন্তন ভালবাসার গল্প বলতে হাজির হয়েছেন অর্ণব মিদ্যে। সঙ্গে তাঁর নতুন ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা।' মূল চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে।
প্রেমের সম্পর্কের বাইরেও প্রতিটা সম্পর্কেই গভীর এক আত্মিক টান, দায়িত্ব বোধ,পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকে। সেই ভালবাসার কথা বলবে হাঁটি হাঁটি পা পা। যে সম্পর্কগুলো সৃষ্টির আদি থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের সকলের জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অথচ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত উপেক্ষিত। যে গাছের গোড়ায় ভালবাসার সার জল সরবরাহ হয় ঐশ্বরিক ভাবে, যে গাছ অলক্ষ্যে অযত্নেও ফুল ফল দিয়ে চলে, সে গাছের কথা আমরা যেমন ভুলে যাই, ঠিক তেমনই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ যেসব সম্পর্কগুলো সেইসব সম্পর্কেও রোজ রোজ ভালবাসার কথা বলা হয় না বহুকাল।
জীবনের টানা পোড়েনে 'আছে কিন্তু নেই' এর মতো ছায়া হয়ে থেকে যাওয়া সম্পর্কের ওপর থেকে ধুলোবালির চাদর আলতো হাতে সরিয়ে, আদর যত্ন ভালবাসার আলপথ ধরে হেঁটেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে পৌঁছতে হয় এই গল্পের চরিত্রদের কাছে। চরিত্ররা এই গল্পে রোজকার ডালভাতের তরল জীবনে হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের পাঁচমেশালি তরকারির মতো। যারা তাতে ভালবাসার নুন টু কু কম নয় আবার বেশিও নয়। একদম ঠিক ঠিক মাপে মেশাতে পারে কি না সেই ভারসাম্যের পরীক্ষার মুখে এসে বারবার দাঁড়ায়।
ছবি নিয়ে পরিচালক অর্ণব মিদ্দে বলেন, 'হাঁটি হাঁটি পা পা-র গল্প, চিত্রনাট্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে চলেছি। গল্পটা আসলে রুক্মিণীকে ভেবেই লেখা। একটা সম্পর্কের গল্পে যেমন হাসি-কান্না, ভাললাগা-ভালবাসা থাকে, এই গল্পটা আসলে তারই যথাযথ সংবেদনশীল মিশ্রণ। গল্পটার চিত্রনাট্য, সংলাপ লেখার সময় সেই সংবেদনশীলতারই পরিচয় দিয়েছেন কাহিনীকার প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার।'
অভিনেত্রীকে জানানোর আগেই তাঁকে ভেবে লেখা গল্প। অভিনেত্রী জানার পর কী হয়? অর্ণব এবিষয়ে বলেন, ' রুক্মিণীকে যখন গল্পটা শোনাতে যাই, ওঁর চোখেমুখে সেই অভিব্যক্তিগুলোই দেখতে পাই, যেগুলো যে কোনও পরিচালক সিনেমা দেখার শেষে দর্শকদের থেকে দেখতে চান। গল্পটা শুনে রুক্মিণীর রাজি হওয়া, তারপর একসঙ্গে দিনের পর দিন চিত্রনাট্য আর সংলাপ পরিমার্জনা করা। গল্পটাকে দর্শকদের মনের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আর রুক্মিণী যেভাবে চরিত্রের প্রয়োজনে একটার পর একটা ছবিতে নিজেকে ভেঙেচুরে দর্শকদের সামনে মেলে ধরছেন, এই ছবিতেও সেরকমই কিছু হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে আরও অনেক চমক আছে, যা ক্রমশ প্রকাশ্য।'
আর অভিনেত্রী তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই ছবির। তিনি বলেন, 'হাঁটি হাঁটি পা পার গল্প যখন শুনি, তখন কেন জানি না, গল্পটা আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে যায়। তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, কাঁটা ছেঁড়ার পরে আজ আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছে যে দর্শকদের আমরা এইরকম একটা ছবি উপহার দিতে চলেছি। তাছাড়া অর্ণবের সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লেগেছে। সংবেদনশীল মানুষ। আর আমাদের গল্পটা যেহেতু সম্পর্কের গল্প, আমার বিশ্বাস ছবিটা ও খুব ভাল বানাবে। ওর আগের ছবিগুলোও আমার ভাল লেগেছে। আশা করি একটা ভাল সিনেমা হতে চলেছে যা অবশ্যই আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে।'
সেল্যুলয়েড ফিল্মসের ব্যানারে আসছে এই ছবি। সহকারী প্রযোজক মানবতা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড। পরিচালনায় অর্ণব মিদ্দে। এই হাঁটি হাঁটি পা পা করে বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দেয় কি না সেটাই এখন দেখার।