১৯৭২ সালে সংগীতজগতে পা রেখেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ দশকের বেশি সময়। কিন্তু থেমে যাননি এক মুহূর্তের জন্যও। রিয়ালিটি শো হোক বা অডিও রেকর্ডিং—আজও গলা মিলিয়েই চলেছেন। কিন্তু এই দীর্ঘ যাত্রায় একটাই প্রশ্ন অনেকের—"হৈমন্তীদির সংসার হয়নি কেন?"
শেষ আপডেট: 4 July 2025 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কপালে বড় লাল টিপ, হাসিমুখ, কথা বললেই যেন মন জুড়িয়ে যায়। তিনি গান গাওয়ার সময়ে যেন আকাশ ছুঁয়ে থাকেন। এক কথায়, তিনিই যেন বাংলা সংগীতের ‘বটগাছ’। বয়স যতই হোক, সারেঙ্গির সেই সুর আজও বদলায়নি। তিনি গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা—বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি।
১৯৭২ সালে সংগীতজগতে পা রেখেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ দশকের বেশি সময়। কিন্তু থেমে যাননি এক মুহূর্তের জন্যও। রিয়ালিটি শো হোক বা অডিও রেকর্ডিং—আজও গলা মিলিয়েই চলেছেন। কিন্তু এই দীর্ঘ যাত্রায় একটাই প্রশ্ন অনেকের—"হৈমন্তীদির সংসার হয়নি কেন?"
একবার এক রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন তিনি। বললেন, “গান ছাড়া আমার কিছুই ভাল লাগে না। সংসার করার ইচ্ছে হয়নি কোনওদিন।” আরও বলেন, "কেন আমার বর হল না, ছেলেপুলে হল না, এ সব মনে হয়নি। আসলে আমার এত ছেলেপুলে যে লোক আমাকে মা বলে ডাকে।”
সংসারী হননি নিজের ইচ্ছায়। কিন্তু প্রেম? তাও কি জীবনে আসেনি কোনওদিন?
রাখঢাক না করেই তাঁর উত্তর, “কেউ হয়তো ভালবেসেছে। আমি বুঝতে পারিনি। অনেকেই আমায় জিজ্ঞাসা করেন, তুমি এত ভালবাসার গানগুলো কাকে ভেবে গাও? আমি তখন উত্তর দিই ওই মাইক্রোফোনটাই আমার প্রেমিক হয়ে যায় তখন।” সঙ্গীতই তাঁর প্রেম, মাইক্রোফোনই তাঁর প্রেমিক। আর সন্তান? শিষ্য, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর আত্মজীবনী—‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে’। তাতে উঠে এসেছে জীবনের জানা-অজানা নানা দিক।
সংসার না করে বেছে নিয়েছেন সঙ্গীতকে। সেই সুরেই আজও মোহিত তাঁর অনুরাগীরা। হয়তো প্রেম ছিল না, কিন্তু ভালবাসা পেয়েছেন আকাশছোঁয়া।