
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল এইচবিও-র (HBO) জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। ইতিহাসের মত করে এক গল্পের জন্ম দিতে গিয়ে এইচবিও নিজেই হলিউড সিরিজের দুনিয়ায় এক ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে। ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় অন্যতম নাম করা সিরিজ ‘গেম অফ থ্রোন্স’ (Game of Thrones) রিলিজ করেছিল এই দিনে। প্রথম সিজন থেকেই সিরিজপ্রেমীদের মনে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল এই সিরিজ। রীতিমতো চর্চায় উঠে এসছিল ‘জিওটি’।
৮টা সিসনে ৭৩টা এপিসোড, একটা সিংহাসনের লড়াই, শেষ পর্যন্ত ড্রাগনের অধিকারিণী ড্যানেরিয়াস টারগারেয়ান আর জন স্নো দর্শকদের একেবারে বুঁদ করে ফেলেছিল এই সিরিজে। আর মাঝে মৃত্যুখেকো ‘নাইটওয়াকার’-এর সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই আজও গেম অফ থ্রোন্স-কে কিছুতেই ভুলতে পারেননি জিওটি’ প্রেমীরা।
রাজনীতি, প্রেম, বন্ধুত্ব, বংশ আর আবেগের সম্পূর্ণ প্যাকেজ যদি কোনও সিরিজকে বলতে হয় তবে অবশ্যই তা গেম অফ থ্রোন্স। টারগারেয়ান সাম্রাজ্যের ড্রাগন শক্তির রহস্য নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখেই ফ্রেশ পিকচার নিয়ে আসছে ‘গেম অফ থ্রোন্স’-এর প্রিক্যুয়েল (Prequel) ‘হাউস অফ ড্রাগন’ (House of Dragon)। চলতি বছরের ২১ আগস্ট রিলিজ করতে চলেছে হাউস অফ ড্রাগনের প্রথম সিজন। দেখা যাবে ‘ডিজনি প্লাস হটস্টারে’।
আর আর মারটিনের গল্প ‘ফায়ার এন্ড ব্লাড’ অবলম্বনে টারগারেয়ান বংশের ইতিহাস তুলে ধরবে এই সিরিজটি। ওয়েস্টরোসে টারগারেয়ান রাজত্বের শুরু, রাজা ভিসারিসের প্রথম বংশধর রাজকুমারী রহন্যরা টারগারেয়ানের আইরন থ্রোনের প্রথম দাবীদার হয়ে ওঠা ও তার লড়াইয়ের গল্প বলবে এই সিরিজ।
ইতিমধ্যেই হ্যারেনহলের একটি ছবি পোস্টার হিসাবে ঘুরে বেরাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে তলোয়ার দিয়ে ঘেরা সেই বিখ্যাত থ্রোনের সামনে আগুনের মত উজ্জ্বলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রহন্যরা টারগারেয়ান। আরও একটি পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, রাজা ভিসারিসের ভাই ড্যামন রহন্যরা টারগারেয়ানকে। হাতে ড্রাগনের ডিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। এই সব পোস্টার দেখে কমেন্টে ভরিয়ে দিচ্ছেন ‘গেম অফ থ্রোন্স’-এর অনুগামীরা। একজন লিখেছেন, “এই শো’টা দেখার জন্য আমি আর অপেক্ষা করে থাকতে পারছি না। ‘গেম অফ থ্রোন্স’-এর ইতিহাসে মোড়া গল্পের রস মুগ্ধ করে দিয়েছে আমাকে। বাকি অংশটুকুও যে মন জয় করে নেবেই, সে ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী”।
গেম অফ থ্রোনসের সহসঞ্চালক রায়ান কন্ডাল বলেছেন, “শেষ সবসময়ই মানুষকে আরও তৃষ্ণার্ত করে দেয়। এই শেষের শুরু কোথায় তা জানার আগ্রহ বাড়তেই থাকে মানুষের মধ্যে। ‘গেম অফ থ্রোন্স’ বিগত এপিসোডগুলিতে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। সেই উন্মাদনার ফসল এই প্রিক্যুয়েল। শেষটাকে শেষ না করে আরও একটা সিক্যুয়েল হয়তো আনাই যেত। কিন্তু ভালবাসার জিনিস যদি বেশ অন্যরকমভাবে নতুন করে কারোর কাছে আসে তাহলে তার প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়”।
দীপিকার ‘গেহেরাইয়াঁ’ নিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন মল্লিকা! তুলনা টানলেন ‘মার্ডার’-এর সঙ্গে