শেষ আপডেট: 3 August 2023 05:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টলিউডে ইদানীং ভাল বাংলা ছবির নাকি অভাব (tollywood underrated actors), বলছেন দর্শকরা। যদিও পরম-আবির বা দেব প্রানপণ চেষ্টা করছেন 'ফাটাফাটি', 'হাওয়া বদল' অথবা 'ব্যোমকেশ' দিয়ে হল ভরাতে, তবে সেই চেষ্টা আদৌ কতটা কার্যকরী হবে তা বলা কঠিন। মুক্তির আগেই একাধিক কটাক্ষে জর্জরিত দেবের 'ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য'। অন্যদিকে সমালোচকদের থেকে 'শিবপুর' প্রশংসা পেলেও প্রযোজক বিতর্কে বেশিদিন হলে জায়গা করতে পারেনি এই ছবি। আবিরের 'ফাটাফাটি'ও মুক্তির আগে যতটা আলোড়ন তুলেছিল তার তুলনায় বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ হয়নি।
গত কয়েক বছরে টলিউডে নতুন ছবি বেরোলেই অনেকে ঠাট্টা করে বলেন, 'ফের বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে হবে', অর্থাৎ ছবির অভিনেতা থেকে চিত্রনাট্য সবকিছুর এমনই দুরবস্থা যে দর্শককে একপ্রকার আবেদন করতে হয় বাংলা ছবি দেখার জন্য। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে ইদানিং আবার অনেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উদাহরণ টেনে আনছেন। বলিউডকে বাদ দিয়ে কীভাবে দক্ষিণী ছবির দর্শক জয়ধ্বনি করেন তাঁদের একান্ত নিজেদের প্রিয় নায়কদের সেই উদাহরণ দিয়ে নির্মাতারা বোঝাতে চাইছেন আসলে বাঙালি দর্শকই নাকি মূল্য দিতে পারছে না তাদের নিজের ইন্ডাস্ট্রিকে।
এই যেমন টোটা (tota roychowdhury), যিশু বা শাশ্বতর কথাই ধরা যাক। টলিউডে কাজের তুলনায় বলিউডে বা দক্ষিণী ছবিতে কাজের সংখ্যা আর জাতীয় স্তরে প্রশংসা দুইই মিলছে এই অভিনেতাদের। অথচ টলিউড আদৌ কি সেই সম্মান বা চরিত্র তাঁদের দিতে পেরেছে যেটা তাঁদের প্রাপ্য?
সম্প্রতি 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি'তে টোটা রায়চৌধুরীর নাচের দৃশ্য ভাইরাল নেটপাড়ায়। যে টোটাকে চিনে নিয়েছিল ঋতুপর্ণ ঘোষের জহুরির চোখ, সেই হিরেকে চিনতে ভুল করেননি করণ জোহরও। অন্যদিকে 'পিকু' থেকে 'বরফি' সহ বলিউডের একাধিক ছবিতে কাজ করে জাতীয় স্তরে নিজের জমি আগেই শক্ত করেছেন যীশু। সম্প্রতি কাজলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন 'দ্য ট্রায়াল'-এও। প্রায় একই চিত্র শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। 'কাহানি' মুক্তির পর থেকে জাতীয় স্তরে কাজের অভাব হয়নি শাশ্বতর। সম্প্রতি 'প্রজেক্ট কে'-তেও ট্রেলারে এক ঝলক দেখা গেছে অভিনেতাকে।
উত্তরে প্রায় তিনজনই নানা সময়ে জানিয়েছেন ওইসব ইন্ডাস্ট্রির পেশাদারিত্বের কথা। পাশাপাশি তাঁরা সেখানে পান উপযুক্ত সম্মান, ভাল চিত্রনাট্য।
ঠিক এই সম্মান বা চিত্রনাট্যই আশা করেন যীশু, টোটা বা শাশ্বতর মতো জাত অভিনেতারা। সেই কারণেই বাংলা ছেড়ে পশ্চিম বা দক্ষিণমুখী তাঁরা। মজার বিষয়, বাংলায় কিন্তু ভাল চিত্রনাট্যের অভাব নেই, অথচ কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের সম্পদকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে ডাহা ফেল টলিউড। একা অনির্বাণ, আবির বা পরম আর কত টানবেন বলছেন ফিল্ম সমালোচকরা। কিন্তু টলিউড সে কথা শুনছে কি?
এ কী করছেন মহেশ! ‘বিগ বস’-এর ঘরে ঢুকেই হাঁ করে চেয়ে রইলেন প্রতিযোগী মনীষার দিকে