
সুশান্তের সঙ্গে রিয়া থাকাকালীন উধাও হয়েছে ১৫ কোটি, কিন্তু ৩ বছর ধরে লেনদেন হয়েছে মোট ৫০ কোটির, দাবি রাজপুত পরিবারের আইনজীবীর
যদিও এই ঘটনায় সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ঠিকই, তবে রিয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি কোনও টাকা ঢোকেনি। এই প্রসঙ্গে সুশান্তের আইনজীবীর অভিযোগ, মুম্বই পুলিশ তদন্ত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। একের পর এক বলিউড তারকাদের ডেকে জেরা করে সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের রঙ লাগাতে চাইছে।
‘পিঙ্কভিলা’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুশান্তের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেছেন, “রিয়া সুশান্তের সঙ্গে এক বছর ধরে ছিলেন। সেই সময় ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। অথচ সুশান্ত কোনও সম্পত্তি কেনেননি। বিলাবহুল গাড়ি কেনেননি। তাহলে টাকাগুলো গেলো কোথায়?” এ ছাড়াও বিকাশের দাবি, রিয়া সুশান্তের সঙ্গে থাকার আগে থেকেই তিন বছর ধরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। এই ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি করেছেন বিকাশ।
এখানেই শেষ নয়। ধীরে ধীরে কী ভাবে রিয়া সুশান্তের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল সেই বর্ণনাও দিয়েছেন রাজপুত পরিবারের আইনজীবী। বিকাশ জানিয়েছেন, ক্রমশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমেছিল সুশান্তের। বাবা-ছেলের কথাও হতো না সে ভাবে। সুশান্তের বডিগার্ডের মাধ্যমে অভিনেতার পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সুশান্তের দেহরক্ষীকে বদলে দেন রিয়া। শুধু তাই নয়। বদলে দেওয়া হয় সুশান্তের ফ্ল্যাটের রাঁধুনি, পরিচারক এবং অফিসের কর্মীদেরও। এ ছাড়াও আচমকাই সুশান্ত বেশ কিছু ওষুধ খেতে শুরু করেন। অথচ এ ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গও জানত না অভিনেতার পরিবার। সবদিক থেকেই সুশান্তকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন রিয়া, এমনই অভিযোগ করেছেন আইনজীবী বিকাশ সিং।