দ্য ওয়াল ব্যুরো: নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক যোগের তদন্তে নামার পর থেকে একের পর এক তারকার নাম জুড়ছে মাদক চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ। এদিকে অভিযোগ প্রমাণের আগেই সমালোচকদের একদল ওই তারকাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি এমনটা হয়েছে দিয়া মির্জার সঙ্গে। অভিযোগ উঠেছে দিয়াও নাকি ড্রাগ নিতেন। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মাদক পাচারকারীদের। এমন গুরুতর অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে অনেকেই দিয়াকে নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে দেন।
https://twitter.com/deespeak/status/1308386024758808576?s=20
গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী। সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন দিয়া মির্জা। টুইট করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এইসব অভিযোগ মিথ্যে, যুক্তিহীন, ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত বোকা বোকা। মোট তিনটি টুইট করেছেন দিয়া। তিনি লিখেছেন, "আমি জোর দিয়ে বলছি এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। ইচ্ছে করে তথ্য বিকৃত করে খবর করা হচ্ছে। এইসব অভিযোগে আমার সম্মানহানি তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে প্রভাব পড়বে আমার কেরিয়ারেও। যেটা এত বছর ধরে কষ্ট করে আমি তৈরি করেছি।" দিয়া আরও লিখেছেন যে তিনি কোনওদিন মাদক সেবন করেননি। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি কোনওদিন কোনও মাদকজাত দ্রব্য কিনিনি, সেবনও করিনি। এইসব ভিত্তিহীন, মিথ্যে অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। ধন্যবাদ তাঁদের যারা আমার পাশে আছে, আমায় সমর্থন করছেন।"
https://twitter.com/deespeak/status/1308386189578125313?s=20
অন্যদিকে মাদক তদন্তে ইতিমধ্যেই দীপিকা পাড়ুকোনের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে সমন পাঠিয়েছে নারকোটিক্স ব্যুরো। সেই সঙ্গে KWAN ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামে যে কোম্পানিতে করিশ্মা কর্মরত সেখানকার সিইও ধ্রুব চিতগোপিকরকেও আজই এনসিবি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং অভিনেতার প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে তলব করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো।
https://twitter.com/deespeak/status/1308386317554782208?s=20
শোনা গিয়েছে, এই মাদক তদন্তে বি-টাউনের আরও দুই অভিনেত্রী সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরকেও তলব করতে পারে এনসিবি। এছাড়াও বলিউডের আরও এক বিখ্যাত প্রযোজক মধু মন্টেনার নামও সামনে এসেছে এই ঘটনায়। সূত্রের খবর তাঁকেও সমন পাঠাতে পারে নারকোটিক্স ব্যুরো।
তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ড্রাগ পেডলারকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো। তাদের মধ্যে অন্যতম জাইদ ভিলাত্রা এবং আবদুল বসিত পরিহার। এনসিবি সূত্রে খবর, সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল জাইদের। আর এই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আবদুল। মাদক তদন্তে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল্কেও গ্রেফতার করেছে এনসিবি।