
শাহিদ-করিনার সম্পর্ক কেন ভেঙেছিল, জানালেন বেবো নিজেই
যদিও প্রেমের মেয়াদ ছিল বছর তিনেক। কেন ভেঙে যায় বেবো এবং শাহিদের সম্পর্ক তা নিয়ে সেসময় খোলসা করে কিছুই বলেননি দুই তারকার কেউই। তবে এতবছর পরে ফের শিরোনামে শাহিদ-করিনার প্রেম। সম্পর্কের নানা অজানা কথা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং বেবো। ক্যামেরার সামনেই জানিয়েছেন কেন ভেঙেছিল তাঁদের সম্পর্ক। করিনার কথায়, “ভাগ্যের অন্যরকম পরিকল্পনা ছিল। জীবন সেই পথেই এগিয়েছে। আমাদের দু’জনের পথও আলাদা হয়ে গিয়েছে।“
শাহিদ-করিনা জুটির সবচেয়ে সফল ছবি ‘জব উই মেট’। ২০০৭ সালে ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় রিলিজ হয়েছিল এই ছবি। মাঝে ১৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও একটুও ফিকে হয়নি ছবির প্রতি দর্শকদের ভালবাসা। বরং এক দশক পেরিয়ে গেলেও লোকের মুখে বারবার ফিরে আসে আদিত্য আর গীতের প্রেম কাহিনী। অথচ শোনা যায় এই রোম্যান্টিক ছবির শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই নাকি ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল শাহিদ কাপুর আর করিনার মধ্যে।
‘জব উই মেট’ রিলিজের পর আচমকাই শোনা যায় শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে করিনা কাপুরের। ইতিমধ্যেই ছোটে নবাব সইফ আলি খানের সঙ্গে ডেট করতে শুরু করেন বেবো। বিটাউন নতুন জুটির নাম দেয় ‘সইফিনা’। এর মাঝে মীরা রাজপুতের সঙ্গে বিয়ে সেরেছেন শাহিদও। বলিউডের চকোলেট হিরোর থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট মীরা। টিনসেল টাউনের পরিচিত মুখও নন তিনি। এমনকি শাহিদ কাপুরের সঙ্গে মীরার বিয়েটাও হয়ে যায় আচমকাই। সেসময় দুই তারকার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেই নানা মুনি নানা মত দিয়েছিলেন।
তবে আজ দু’জনের ঘরতর সংসারী। দুই সন্তানের বাবা শাহিদ সময় পেলেই বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। অন্যদিকে তৈমুরকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া তোই সইফ আর করিনার রুটিনের মধ্যেই পরে। তবে সবকিছু অনেক বদলে গেলেও এখনও দর্শকদের মন থেকে ফিকে হয়নি শাহিদ-করিনার প্রেমের রঙ।