শেষ আপডেট: 3rd March 2025 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত শনিবার অর্থাৎ ১লা মার্চ, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের (EIMDA-Directors)বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন হল। যৌথ সিদ্ধান্তে ঠিক হল দুটি পদ। প্রথমটি ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যকরী সভাপতি হলেন অনুপ সেনগুপ্ত। এবং স্বরূপ বিশ্বাস, হলেন প্রধান উপদেষ্টা। বহু দিন ধরেই টলিঅন্দরে খবর ভাসছিল, সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অরিন্দম শীলরা ফিরতে চাইছেন পুরনো গিল্ডে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, ‘দ্য ওয়াল’কে জানিয়েছিলেন, তিনি গিল্ডের পুরনো কার্ড রিনিউ করেছেন। আর পরিচালক অরিন্দম শীল বললেন ‘ঘর ওয়াপসি করিনি। আমি বহুদিন আগে থেকেই গিল্ডের সদস্য’। সৃজিত-অরিন্দম ছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে, রাহুল মুখোপাধ্যায়, শুভ্রদিৎ মিত্রদেরও।
প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী কারণে EIMDA সদস্য ‘হওয়ার‘ বা ‘রিনিউয়ের’ জন্য উঠেপড়ে লেগেছে পরিচালকদের একাংশ?
অরিন্দম বললেন, ‘একটি অভিযোগ নিয়ে, আমাকে যেভাবে বহিষ্কৃত করা হল, তা আমি মেনে নিতে পারিনি। শুধু আমি নয়, স্বরূপ বিশ্বাস নিজে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, যে অরিন্দমবাবুর উপর গিল্ড যা করেছিল, তা বেআইনি, সেই অধিকার গিল্ডের নেই।’
টলিপাড়ার অন্দরে এও খবর, একটি মাত্র ডিরেক্টর গিল্ডকেই আগামীদিনে ‘কাজের স্বীকৃতি’ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে অরিন্দম বলেন, ‘আমিও শুনেছি, দেখুন আমি বিশ্বাস করি, সংগঠনের স্বচ্ছতা সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সকল সভ্যর মতামত গ্রাহ্য করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। পরিচালক যদি ক্যাপ্টেন অফ শিপ হয় তাহলে তাঁকে নিজের কথা সবার শেষে ভাবতে হয়। সে টিম লিডার। টিমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহমর্মিতার প্রয়োজন। নিয়ম মেনে কাজ করার মধ্যে একটা ডিসিপ্লিন আছে।’ এখানেই থামেননি অরিন্দম, বললেন, ‘আমরা শান্তিতে কাজ করতে চাই। যে ইস্যু প্রযোজকদের সংক্রান্ত, সেগুলো আমরা পরিচালক হিসেবে কেন তুলে আন্দোলন করতে যাব? এখানে কোনও শত্রুতা নেই, বৈরিতা নেই। চলচ্চিত্র জগতেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে কাজ করার প্রয়োজন। ক্ষুদ্রতা ও স্বার্থভিত্তিক সিদ্ধান্ত, আমাদের নিজেদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করছে।’
পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র EIMDA-র নতুন সদস্য। পরিচালক সোজাসুজি বললেন, ‘আমি DAEI ছেড়ে, পুরনো গিল্ডের সদস্য হয়েছি, এমনটা নয়। EIMDA-র পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, আমি সদস্যপদ নিই, এটুকুই। আশা করব, ওই গিল্ড ছেড়ে, এই গিল্ডে যোগ দিয়েছি, এমন ভুল বার্তা, যেন না যায়।’
পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ‘চর্চিত’ নাম। গত বছর ফেডারেশনের তরফ রাহুলের উপর জারি হয় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা। আর তারপর থেকেই DAEI এবং ফেডারেশনের দ্বন্দের সুত্রপাত। সেই কঠিন সময়ে রাহুলের পাশে এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন DAEI-র একাংশ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচাৰ্য এবং আরও অনেকে। আপাতত, রাহুল পুরনো গিল্ড অর্থাৎ EIMDA-র সদস্যও। ‘দ্য ওয়াল’-এর পক্ষ থেকে তাঁকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, ‘পাঁচ মিনিট বাদে, কথা বলছি,’ কিন্তু তারপর থেকে ফোন বেজে গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের জবাব আসেনি। (জবাব মিললে, এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হবে।)