
আমার সব জামা-ই স্ত্রী কিনে দেন! পুজো শপিং নিয়ে আড্ডায় পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
সারা বছর পরিচালক (director) প্রযোজক (producer) তথা অভিনেতা (actor) শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shibaprasad Mukhopadhyay) কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, দম ফেলার যেন ফুরসৎ নেই। যেহেতু পুজোর (Durga Puja) ক’টা দিন শ্যুটিং বন্ধ থাকবে, তাই একটু রিলাক্সড মুডে পাওয়া গেল এই হেভিওয়েট সেলিব্রেটিকে। কথা বললেন চৈতালি দত্ত।
এবার কি পুজোর সময় কলকাতায় থাকছেন?
একদম। এবারে আমি পুজোতে কলকাতার বাইরে যাব না। বাড়িতেই থাকব। আমার মা, শাশুড়ি মা, শ্বশুরমশাই, আমার স্ত্রী , শালাবাবু , আমার দিদিরা, ভাগ্নে ও তাঁদের বউ ওঁদের ছেলেমেয়েরা অর্থাৎ দুই পরিবারের সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে কাটাব এমনটাই ইচ্ছা আছে। আমার দিদিরা শান্তিনিকেতন থেকে আসবেন। একটা জমজমাট পারিবারিক পুজোর সেলিব্রেশন হবে। সারা বছর কাজের চাপে সকলের সঙ্গে মিলিত হবার একেবারেই সময় পাই না। গত দু’বছরে কোভিড আবর্তে পরিবারের সকলের সঙ্গে সেভাবে একসঙ্গে গেট টুগেদার করার সুযোগ হয়নি। তাই এবছর বাড়িতে সবাই মিলে থাকব। ফলে একটু অন্য রকম মুডেই আছি।
পুজোর শপিং (shopping) হয়েছে?
শপিং-এর ক্ষেত্রে বলব, বিয়ের পর থেকে আমার যা কিছু জামা কাপড় সবই আমার স্ত্রী কিনে দেন। এছাড়া আমি প্রচুর উপহার পাই। আমার মা, স্ত্রী উপহার দেন। প্রতিবছরই শাশুড়ি মা আমাকে উপহার দেন। আজকেই আমার শাশুড়ি মা সাদার ওপর লাইট গ্রিন কালারের ছোট ছোট ফুলের কাজের লাইট ওয়েট মসলিন ঢাকাই জামদানির পাঞ্জাবি দিয়েছেন।অসাধারণ দেখতে। ওই পাঞ্জাবি পরেই অঞ্জলি দেবার ইচ্ছে আছে। আর আমি খুব বেশি ভারী এবং অর্নামেন্টাল পোশাক পরতে একদম পছন্দ করি না। পাঞ্জাবিতে আমি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আমার শালাবাবু বিদেশী ব্র্যান্ডের টি শার্ট দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবারের মতো এ বছরেও নন্দিতাদির (রায়) থেকে উপহার এসেছে। লাইটওয়েট জগার জিন্স অনেকগুলোই আমি উপহার হিসাবে পেয়েছি। আর এই ধরনের লাইট জিন্স পরতে খুব ভাল লাগে ।বিশেষ করে শ্যুটিং, অফিস বা কোথাও যাতায়াতের জন্য খুবই কমফোর্টেবল।
সাধারণত সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি, যা গরমের দিনের জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক। কেনাকাটার দিক থেকে বলব, মা ভীষণ লাইট শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। তাই ঢাকাই মসলিন জামদানি শাড়ি মা-র জন্য কিনেছি। আমার স্ত্রী এই সময়টা নিজের পছন্দ করা পোশাক পরতেই পছন্দ করে। এবারে শাড়ি থেকে অন্যান্য পোশাক ও কিনেছে। তবে বছরের অন্য সময় আমি নিজের পছন্দসই পোশাক স্ত্রীকে কিনে দিই। আমি স্ত্রীকে এমন পোশাকে কিনে দিই, যা প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া পুজোতে আমার এবং আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকেও আমার স্ত্রী অনেক উপহার পায়। প্রতি বছরই আমার দিদিদের, দাদা -বৌদি প্রত্যেকের জামা কাপড় আমি কিনি। এ বছরও নানা ধরনের জামাকাপড় ওঁদের জন্য কিনেছি।
আমার শ্বশুরমশাই পাঞ্জাবি পরতে খুব ভালোবাসেন। সেই ধরনেরই কেনা হয়েছে। আর আমার শালাবাবু ফ্যাশনেবল। তাই ওঁর জন্য একটু অন্য ধরনের টি-শার্ট কেনা হয়েছে। শাশুড়ি মায়ের জন্য বোমকাই সিল্ক কিনেছি। এছাড়াও এখন কর্ডিনেট পোশাক খুব ইন্। নিজের জন্য দুটো আমি কিনেছি । নন্দিতাদিকে শাড়ি উপহার দিয়েছি। এ তো গেল জামা কাপড় কেনাকাটার পালা। কিন্তু আমার কিংবা শ্বশুরবাড়ির পরিবার হউক না কেন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এমন আছে যেটা নাকি সেই মানুষটির খুবই প্রয়োজন সেটিও কিন্তু উপহারস্বরূপ আমি দিয়ে থাকি। কারণ আমি মনে করি সেটি তাঁর কাজের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও একটা কথা বলা বিশেষ প্রয়োজন। এই বছর আমার নিজের বাড়িতেই একদিনের জন্য পুজোর আগেই চণ্ডীপাঠ হবে। পুজোর চারটে দিন একটু অন্যরকম করে কাটাব, এমনটাই ইচ্ছা আছে। আবার পুজো শেষে কাজকর্ম শুরু হবে।
শর্ট সার্কিটের ভয়! ষষ্ঠীতেই বন্ধ টুইন টাওয়ারের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড, বাকি পুজোয় চলবে কি?