দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'বিকল্প একমাত্র বামপন্থা', এই তিনটে শব্দে এখনও বিশ্বাস রাখেন অনেকেই। সেই তালিকাতে রয়েছে টলিপাড়ারও অনেক চেনা মুখ, যাঁরা কোনও দিনই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। অনীক দত্ত, কমেলশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি মিশ্র, বাদশা মৈত্রের মতো বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকাই ভরসা রাখেন বামপন্থাতে, মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করাতে। তাই এই দিন যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যানটিনের ৩০০দিন উদযাপনেও তাঁরা সকলে সামিল হন।

'লালমোহন, মগনলাল, লালেই লাল' ক্যাপশন দিয়ে দেবজ্যোতি মিশ্রের পোস্ট করা ছবি শেয়ার করেন। গানে আড্ডায় ও আলোচনায় যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যানটিনের ৩০০ দিন উদযাপন করেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করেন। এদিন সকলের প্রিয় 'জুন আন্টি' উষসী চক্রবর্তীও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। সকলকে সমবেতভাবে 'হেই সামালো ধান হো কাস্তেটা দাও শাণ হো' গানে গলা মেলাতেও শোনা গেল।

করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশব্যাপী লকডাউনে অনাহারে, কর্মহীনতায় রাত কাটাতে হয়েছে অনেককে। ঠিক তখনই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয় যৌথ খামার। সকলের পেটে যাতে ভাত জোটে তার জন্য মূলত ছাত্রযুবের উদ্যোগেই তৈরি হয় কমিউনিটি কিচেন। যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যানটিনই হল সেরকম যৌথ খামার যারা পথ দেখায় বাকিদের, তৈরি হয় জেলায় জেলায় কমিউনিটি কিচেন। সারা দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই শ্রমজীবী ক্যানটিন দিনের পর দিনের মানুষের পাশে থেকেছে, জুগিয়েছে খাবার। তারাই এই দিন পেরিয়ে গেল ৩০০ বাউন্ডারি এবং এখন নট আউট।

ভোটের বাজারে পরিষ্কার হয়ে যায় টলিপাড়ার বিভাজন। যেখানে দলবদলের ফুলবদলের হিড়িক উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়েই আবার অনেকে ভরসা রাখছেন বামপন্থাতে। সম্প্রতি অভিনেতা রুদ্রনীলের বিজেপিতে যোগদান নিয়েও অনেকেই মুখ খুলেছেন।
অনীক দত্ত বলেন, ‘অনেকের মানসিকতাই এরকম। তাঁরা সুবিধাবাদের প্রতিভূ। ২০১০ সাল থেকেই দেখছি। বুঝেছি এনারা আসলে সুবিধাবাদী। এরকম মানুষ চিরকালই ছিলেন।’

বাদশা মৈত্র বলেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলে একবার অন্তত শ্রমজীবী ক্যানটিনে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আসতেন। যাঁরা দলবদল করেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগত স্বার্থে সেকাজ করছেন। আমার কিছু বলার নেই।’
এদিন হাজির ছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে বামপন্থার প্রচার আরও বেশি করে দরকার।’