দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ কপূর মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। ৯৮-এ পৌঁছনো দিলীপ কুমার আজ ভাল, তো কাল সঙ্কটজনক। গতকালই তিনি খানিকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ওদিকে তাঁদের পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কয়েক দশক আগে ফেলে আসা পৈতৃক ভিটে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া অব্যাহত। যদিও গত সপ্তাহেই সেখানকার প্রাদেশিক সরকার দুই প্রবাদে পরিণত অভিনেতার পেশোয়ারের বাড়িদুটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার কালচারাল হেরিটেজ কাউন্সিলের সেক্রেটারি শাকিল ওয়াহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, ১৩ বছর ধরে লড়াই করে সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই রুপোলি পর্দার নায়কদের ভিটে সংরক্ষণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন। জাতীয় পরিচিতি কোনও ব্যাপার নয়, এধরনের ভবনগুলিকে পাকিস্তানের পর্যটন শিল্পের আকর্ষণীয়, দ্রষ্টব্য স্থানে পরিণত করা যেতে পারে বলে তাঁর অভিমত।
কপূর হাভেলি বলে পরিচিত রাজ কপূরের পৈতৃক ভিটে পেশোয়ারের কিসা খাওয়ানি বাজারে। ১৯১৮ থেকে ১৯২২ এর মধ্যে বাড়িটি বানান রাজের ঠাকুর্দা দেওয়ান বশেশ্বরনাথ কপূর। রাজ, তাঁর কাকা ত্রিলোক কপূরের জন্ম ওই বাড়িতেই। দিলীপ কুমারের ১০০ বছরের ওপর পুরানো বাড়িটি কপূর হাভেলির কাছেই। সেটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। দুটি বাড়িকেই পাকিস্তানে জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করে কেনার জন্য ২.৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে প্রাদেশিক সরকার।
শুধু রাজ-দিলীপ নন, শাহরুখ খান, মধুবালা, সায়রা বানো, বিনোদ খন্না, অনিল কপূর, আমজাদ খান, মনোজ কুমারের পৈতৃক বাসভবনও পেশোয়ারেই।
ওয়াহিদুল্লাহর প্রস্তাব, এই বলিউড তারকাদের পরিবারের যাঁরা এখনও পাকিস্তানে থাকেন, তাঁদের পেশোয়ারে কোনও অনুষ্ঠান ডাকা হোক ট্যুরিজমের উন্নতি, প্রসারের জন্য। ফেডেরাল সরকারের অনুমতি নিয়ে ওই তারকাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এরপর শাহরুখের বাবার পৈতৃক ভিটে, মধুবালার বাড়িরও সংস্কার করা উচিত।
এই ঐতিহ্যশালী বাড়িগুলি গ্রাস করা থেকে দূরে ঠেকিয়ে রাখা উচিত জমি মাফিয়াদের, বলেন তিনি। হেরিটেজ ভবনগুলি রক্ষায় নীচুতলার অফিসাররা উদাসীন বলে খেদ প্রকাশ করেন তিনি। জমি মাফিয়ারা প্রমোটরদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ভবনগুলিরে ঐতিহাসিক গুরুত্বকে মূল্য না দিয়ে মল বানাতে চায় বলে অভিযোগ করেন ওয়াহিদুল্লাহ।