তখনও তিনি ‘মহানায়ক’ নন—ভবানীপুরের অরুণ চট্টোপাধ্যায় নামে পরিচিত এক তরুণ, যিনি সিনেমার রূপোলি পর্দা নয়, মঞ্চের আলো-আঁধারিতেই নিজের জায়গা করে নিচ্ছিলেন।
‘মহানায়ক’
শেষ আপডেট: 15 May 2025 20:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো:তখনও তিনি ‘মহানায়ক’ নন—ভবানীপুরের অরুণ চট্টোপাধ্যায় নামে পরিচিত এক তরুণ, যিনি সিনেমার রূপোলি পর্দা নয়, মঞ্চের আলো-আঁধারিতেই নিজের জায়গা করে নিচ্ছিলেন। পাড়ার থিয়েটারে তাঁর অভিনয়ের রেশ তখনই ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে। আর গিরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে তখন গানবাজনার আসর মানেই ছোটোখাটো উৎসব।
সেই জলসায় মাঝে মাঝেই আসতেন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের বাবা শীতল মুখোপাধ্যায়। তিনি গাইতেন টপ্পা, আর উত্তম—হ্যাঁ, সেদিনকার অরুণ—গলা মেলাতেন রবীন্দ্রসঙ্গীতে। ততদিনে বি.কম পাশ করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে কাজ শুরু করেছেন উত্তম কুমার। তবে চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও ছাড়েননি সঙ্গীতচর্চা। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিচ্ছেন নিদানবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
গানের প্রতি ভালবাসা এতটাই গভীর ছিল যে, কর্মজীবনের শুরুতে দক্ষিণ কলকাতার চক্রবেড়িয়া স্কুলে ক’মাস সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ছাত্রদের প্রিয় সেই ‘গান-স্যার’ ছিলেন অরুণ চট্টোপাধ্যায় নিজেই। গানের পথ ধরেই জীবনে এল প্রেম। গৌরীদেবী—তাঁরই মত রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রেমী, সুকণ্ঠী এক তরুণী।
কথিত আছে, তাঁদের সম্পর্কের সূত্ৰপাতও হয়েছিল গানের সূত্রে। এবং গৌরীদেবীর জন্য এক বিশেষ গান বহুবার গেয়েছেন উত্তম কুমার—"আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ..." শুধু গানে নয়, বাস্তবেও যেন এই গানই হয়ে উঠেছিল তাঁদের হৃদয়ের সেতুবন্ধ।