২৬ বছর কেটে গিয়েছে। সিনেমার দৃশ্যপট বদলেছে, সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টেছে। কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভানসালির সেই এক অপূর্ব সৃষ্টি ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর মোহ আজও টিকে আছে বলিউডপ্রেমীদের মনে।
'হম দিল দে চুকে সনম'
শেষ আপডেট: 5 July 2025 14:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৬ বছর কেটে গিয়েছে। সিনেমার দৃশ্যপট বদলেছে, সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টেছে। কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভানসালির সেই এক অপূর্ব সৃষ্টি ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর মোহ আজও টিকে আছে বলিউডপ্রেমীদের মনে। গল্পের গভীর প্রেম, সংগীত, চোখে চোখে কথা বলা আর এক বিষণ্ণ পরিণতি—সব মিলিয়ে ছবিটি রয়ে গিয়েছে এক নস্ট্যালজিয়া হয়ে। এই ছবির নায়িকা ‘নন্দিনী’ অর্থাৎ ঐশ্বর্যা রাই এবং ‘সমীর’ সলমন খানের রসায়ন নিয়ে দর্শকমহলে তখন থেকেই জল্পনা ছিল। এবার সে জল্পনায় নতুন মাত্রা দিলেন ছবির অন্যতম অভিনেত্রী স্মিতা জয়কর—যিনি ছবিতে ঐশ্বর্যার অনস্ক্রিন মা-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্মিতা জানান, ‘‘হ্যাঁ, ওরা প্রেমে পড়েছিল সেই সময়। ছবির সেটেই সম্পর্কটা গড়ে ওঠে। এবং সেটা পর্দায়ও ফুটে উঠেছিল। চোখেমুখে, শরীরী ভাষায়, এক রকম ঘোর লেগে থাকত। সেটাই ছবির শক্তি হয়ে উঠেছিল।’’
২০২৫ সালের ১৮ জুন ছবির ২৬তম বর্ষপূর্তিতে স্মৃতিচারণ করলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভানসালিও। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, ওদের মধ্যে ভালবাসা জন্মাচ্ছিল। কিন্তু শুধু ওদের নয়, পুরো ইউনিটজুড়েই ছিল গভীর আত্মিক বন্ধন। জোহরা সেহগলজী, হেলেন আন্টি, সলমন, ঐশ্বর্যা, বিক্রম গোখলে, স্মিতা জয়কর—আমরা যেন একটা পরিবার হয়ে উঠেছিলাম। আমি আর কোনও ছবির শুটিংয়ে এমন তৃপ্তি পাইনি।”
তবে সম্পর্কের গল্পটা ততদিন পর্যন্তই। এরপর যা ঘটেছিল, তা জানালেন সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলি। টাইমস নাউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমি বলেন, ‘‘ছবির শুট চলাকালীন আমি সলমনকে ফোন করেছিলাম, তিনি ধরেননি। পরে সঞ্জয় বললেন, ও শটে আছে। এর কিছুদিন পর থেকেই ঐশ্বর্যা সলমনের জিমে আসতে শুরু করলেন, যেখানে তখন আমি থাকতাম। গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের কাজের লোকেরা আমায় জানিয়েছিল, কিছু একটা হচ্ছে। আমি বুঝেছিলাম, আমাকে সরে যেতে হবে।’’
২০০২ সালে ভেঙে যায় সলমন-ঐশ্বর্যার সম্পর্ক। আর কখনও একসঙ্গে কাজ করেননি তাঁরা। ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যা বিয়ে করেন অভিষেক বচ্চনকে। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে—আরাধ্যা। তবে সম্পর্কের পরিণতি যাই হোক, ‘হম দিল দে চুকে সনম’ রয়ে গিয়েছে বলিউড ইতিহাসের এক মাইলফলক হয়ে।