
সোমবার দে’জ প্রকাশনা সংস্থার ঘোষণা, ২০২২-এর বইমেলায় তাঁরা প্রকাশ্যে আনবেন অভিনেতার আত্মজীবনী ‘আবহমান…জার্নি সো ফার’। যে বইয়ে এক অংশে যিশুর জীবনের খুঁটিনাটি সামনে আনবেন কবি সন্দীপন চক্রবর্তী।
কী থাকবে যিশুর আত্মজীবনীতে তা জানতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন সকলেই! তবে তাঁর জীবনের ‘‘সবই থাকবে’’ বলে দাবি প্রকাশকের। জানালেন, বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় নিজেকে প্রমাণ করার পরেও যিশুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ একজন ভাল মানুষ হয়ে ওঠা। কেন? ক্রিকেটে সাব জুনিয়র বেঙ্গল টিমে খেলা অলরাউন্ডার হঠাৎ কেনই বা পেশা বদলে চলে এলেন অভিনয়ে? মেগা ‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য’র দৌলতে খুব অল্পবয়সেই ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা তিনি। অথচ তারপরও দীর্ঘ কাল অচ্ছুৎ ছিলেন পরিচালকদের কাছে। কী কারণে? এমনকি খ্যাতির পরেও, কী ভাবে তাঁকে সইতে হয়েছে অপমান? সবটাই অকপটে ধরা থাকবে দুই মলাটে।
এর আগেও দে’জের হাত ধরে অনেকেরই আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে। উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ, গুলজার, শান্তনু মৈত্রের আত্মজীবনী। কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে এবং অপু দে-র কথায়, খুব শিগগিরিই প্রকাশিত হবে পরিচালক তরুণ মজুমদারের জীবনীকথা।
যিশুকে বেছে নেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে অপু দে ও সুধাংশুশেখর বাবু সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে অভিনেতার জীবনের সংগ্রাম, ওঠাপড়া, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও লড়াইয়ে ফিরে আসা, আগামী প্রজন্মের কাছে উদাহরণ যোগ্য। পাশাপাশি, যিশুর জনপ্রিয়তাও তাঁদের নজর এড়ায়নি।
আর কবি সন্দীপনকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে অপু বলেন, “প্রথম সারির লেখককে না বেছে আমরা সন্দীপনকে বেছেছি কারণ, তিনি যিশুর সমসাময়িক। ফলে, সহজেই তিনি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন আগের দশকের তুলনায় ধীর গতির শহর কলকাতাকে। বুঝবেন, দুই-শতাব্দীর সাক্ষী এক মানুষের হার না মানা লড়াই কত কঠিন।”