শেষ আপডেট: 11th January 2025 21:05
নিজস্ব সংবাদদাতা: হাজার আলোর ঝলকানি। অডিটোরিয়াম ঠাসা। মাথায় অফ-হোয়াইট গোলাপ। পরনে অফহোয়াইট শাড়ি। গলা জুড়ে রকমারি গয়না। হাজির হলেন রুক্মিণী মৈত্র। আজকাল যাকে লোকজন 'বিনোদিনী' বলেই বেশি ডাকছেন। উপলক্ষ 'বিনোদিনী'র ট্রেলার লঞ্চ।
এর আগেও বিনোদিনীর কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন রুক্মিণী। এবারেও তাঁর অন্যথা হল না। চোখে জল, মুখে পরিতৃপ্তি। এ সবের মধ্যেই মাইক হাতে নিলেন দেব। চোখ ছলছল তাঁরও। হাসলেন একগাল। তারপর বললেন, "বহু সাক্ষাৎকারে আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে আমার প্রতিযোগী কে? সত্যি বলছি আমি সবচেয়ে বেশি যাকে হিংসে করি সে রুক্মিণী মৈত্র।"
থামেন না দেব। বলেই চলেন, "এত কম সময়ে যে যে চরিত্রগুলো পেয়েছে, শুধু যে চরিত্র পেয়েছে তা নয়, আমাকে ক্রমশ ছাপিয়ে গিয়েছে, ও অসাধারণ। ও জীবনে অনেক ভাষায় ছবি করুক। হিন্দি ছবি করেছে। আরও হিন্দি ছবি আসুক ওর জীবনে।"
দিন কয়েক আগেই স্টার থিয়েটারের নাম বদলে হয়েছে বিনোদিনী থিয়েটার। রুক্মিণী আর রাম (রামকমল মুখোপাধ্যায়, পরিচালক) আমাকে বহুবার বলত, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কে বলতে যাতে স্টারের নাম বদলে দেওয়া হয়। আমি বলিনি। উল্টে ওদের বকতাম। বলতাম সিনেমায় মন দাও। নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার সুযোগ নিতে চাইনি। তবে দিদি নিজে থেকেই যে কাজ করেছেন তাতে সত্যি তাঁকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন রুক্মিণী। দেবের মুখেও সেই একই কথা। তবে হঠাৎই যেন বেফাঁস তিনি। বললেন, " ওই যে কানহা গানটা রিলিজ করেছে না, রুক্মিণী তো ঘুমের ঘোরেও নাচের মুদ্রা প্র্যাকটিস করত।" ঘুমের ঘোর, দেব জানেন? নিজের 'ভুল' বুঝতে পেরেই একগাল হাসি তাঁর, 'এই আমি দেখিনি, ওর মা দেখেছে, মা-ই বলছিল।" ওদিকে রুক্মিণীও লাজে রাঙা। আপাতত অপেক্ষা কিছু দিনের। 'খাদান' লড়ছে, বিনোদিনীও কি পাশ করতে পারবে পরীক্ষায়? উত্তর মিলবে ২৩ জানুয়ারি।