শেষ আপডেট: 10th January 2024 21:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বড়দিনে শাহরুখ খানের সঙ্গে 'ডাঙ্কি'-র 'পাঙ্গা' নিতে ময়দানে নেমেছিলেন দেব। সঙ্গে ছিল 'কাবুলিওয়ালা'-র প্রতিযোগিতাও। তবুও 'প্রধান'-এর লক্ষ্মীলাভ উত্তরোত্তর বেড়েছে। আর সেই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বছরের প্রথম ছবি 'খাদান'-এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এনেছেন বাংলার সুপারস্টার তথা সাংসদ দেব। আর সেই ছবির নতুন লুকেই বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে হাজির হন দেব।
সাংসদ হওয়ার পর থেকেই দেবের ছবির ধরনে বদল এসেছে। তথাকথিত কমার্শিয়াল ছবির বদলে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেবের পরীক্ষানিরীক্ষা নজরে এসেছে। তা সে কখনও 'ব্যোমকেশ'ই হোক, কিংবা 'প্রধান'। অভিনেতার দেব-এর ছবির বদল ঘটিয়েছেন সাংসদ দীপক অধিকারী। 'খাদান'-এর ক্ষেত্রেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন দেব। তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে হাজির হতে দেরি করেননি তিনি। এদিন দেখা যায়, কালীঘাটের বাড়িতে প্রায় পর পরই ঢোকেন মমতা আর দেব ।
মাল্টিস্টারের ছবি হতে চলেছে 'খাদান'। শুধু দেব নয়, এই ছবিতে থাকতে পারেন যিশু সেনগুপ্ত, বনি সেনগুপ্তও। এখানেই চমকের শেষ নয়, অভিনেতাকে নাকি শাহরুখের 'জাওয়ান'-এর মতো পিতা-পুত্রের চরিত্রে দেখা যাবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে দেবের প্রযোজনা সংস্থা বা ছবির অন্য প্রযোজক সুরিন্দর ফিল্মসের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত কোনও ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেননি দেব। সেখানে তাঁর প্রথম উদ্যোগে যে দর্শকদের বেশ কৌতূহল রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
খাদান-এর ফার্স্ট লুকে দেবকে লাল টি শার্ট আর গলায় গামছা জড়িয়ে দেখা যায়, সঙ্গে অভিনেতা পরেছিলেন কালো প্যান্ট। তাঁর হাতে ছিল কুড়ুল। মুখ দেখা না গেলেও তাঁর চেহারা ছিল রুক্ষ। মুখে চাপা দাড়ি। বুধবার দুপুরের বৈঠকেও সেই লুকেই ধরা দিলেন অভিনেতা। এদিন তাঁর পরনে ছিল কালো টি শার্ট ও সবুজ রঙের কার্গো প্যান্ট। মমতার ডানদিকে বসেছিলেন দেব। সাংসদের বাঁদিকে ছিলেন অভিনেত্রী তথা বিধায়ক জুন মালিয়া।
লোকসভা ভোটের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের সংগঠনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাজির হলেন সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। ঘাটালের তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০২৪ সালে ফের কী ফের প্রার্থী হবেন দেব? তা নিয়ে শাসক মহলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে সেই রহস্যের পুরোপুরি কিনারা হতে আপাতত আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।