শেষ আপডেট: 20th January 2024 19:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু মাস আগে অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপ ফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। সেখানে দেখা যায় ওনাকে একটি বাড়ির লিফটে উঠতে। কিন্তু পরে জানা যায় সেরা উনি নন। এটা নিয়ে কেসও করেন অভিনেত্রী। দিল্লী পুলিশের তদন্তের কিনারা মিলল এবার। পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত নীল ইমানি নবীন (২৩)। উনি অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেয়। আসল ভিডিয়োটিতে অন্য একজন মহিলাকে লিফটের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। কিন্তু সেই ভিডিয়োতে এআই ব্যবহার করে, তাকে মর্ফ করে মহিলার মুখের ওপর বসানো হয় রশ্মিকার মুখ। বানানো হয় এক কুরুচিকর ভিডিয়ো।
View this post on Instagram
শুধু রশ্মিকা নয়, এই ডিপ ফেকের শিকার আরও অভিনেত্রীরা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কাজল, আলিয়া ভাট সহ আরও অনেকে।
অভিযুক্ত নবীন বি টেক পড়ছিলেন। গুগল থেকে করেছেন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং-এর কোর্সও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওনার তিনটি ফ্যান পেজ আছে। তাদের মধ্যে একটি রশ্মিকা মন্দনার। কিন্তু তাতে বেশি ফলোয়ার না থাকায় এই ভিডিয়ো পোস্ট করেন উনি। অক্টোবরের ১৩ তারিখ মন্দানার এই ভিডিয়ো পোস্ট করার পর ওনার ফলোয়ারের সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লাখেরও বেশি হয়ে যায়।
এই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের একটি ধরন ‘ডিপ লার্নিং টেকনোলজি’ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। মূলত এই পদ্ধতিতে অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না। মূলত কুরুচিকর জিনিসই এই টেকনোলজিতে বানানো হয়।