শেষ আপডেট: 20th January 2025 16:49
রায়দান নিয়ে আমার আলাদা কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। কলকাতা পুলিশ ঘটনার ৪৮ ঘন্টার দোষী সঞ্জয় রায়কে ধরে ফেলে কলকাতা পুলিশ। ওর শাস্তি নির্ধারিত ছিল, আমাদের প্রত্যেকের তা জানাও ছিল। ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারদন্ড হতোই। কোনওটাই ওর পক্ষে সুখকরনয়। যেটাই হয়েছে, তা নিয়ে আমার, ভাল-মন্দ, খারাপ-ভাল কিছুই নেই। কিন্তু এই শাস্তিটাই যদি না হতো, তাহলে নিশ্চয়ই এই রায়দান নিয়ে প্রতিক্রিয়া থাকত। তবে আমার প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আমি ঘটনাটির এক ভিন্ন দিকে আলোকপাত করতে চাই। আমার প্রশ্ন, বাকিরা কোথায়? যতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যাঁরা এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে বলেছেন, এই ঘটনা একা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব! পাঁচ থেকে ছ’জন অপরাধী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
মনে রাখতে হবে, কোনও একজন বিশেষজ্ঞ এই কথাটি বলেননি। প্রত্যেকজন একই কথা বলেছিলেন। সঞ্জয় রায়ের সাজা হয়ে গেল, কিন্তু বাকিরা আজও অধরা থেকে গেল! তাহলে আমরা কি আজও নিরাপদ? অপরাধীরা আমার আশপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্যাতিতার খুনের ৪৮ ঘন্টা পর আমরা যে তিমিরে ছিলাম, পাঁচ মাস পেরনোর পর আমরা দাঁড়িয়ে সেই তিমিরেই।
আমার মনে হয়, এবার আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, বাকি খুনিরা কোথায়? তারা যতদিন না শাস্তি পাবে, আমরা কেউ নিরাপদ নই! (Debleena Dutt)
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ আরজি কর মামলায় যখন সাজা ঘোষণা (RG Kar Case Verdict) করছেন বিচারপতি অনির্বাণ দাস, তখন বাইরে রাস্তায় তুমুল স্লোগান উঠছে—ধর্ষকের ফাঁসি চাই। শুধু প্রতিবাদীরাই নয়, অনেকেরই ধারণা হয়েছিল ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়য়ের মৃত্যুদণ্ডই হতে চলেছে। কিন্তু রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক অনির্বাণ দাস জানালেন, সঞ্জয় রায়য়ের অপরাধ ‘বিরলতম’ নয়। তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত।
গত বছরের ৯ অগস্ট ভোর রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape and Murder Case) চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। সেই মূল ঘটনার ৫ মাস ১১ দিন পর অবশেষে সাজা ঘোষণা হল।