
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতপাতের প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় গালিগালাজের অভিযোগে জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়াল তারক মেহতা কা উল্টা চশমার ববিতাজি চরিত্রে অভিনয় করা মুনমুন দত্তের বিরুদ্ধে গত ১২ মে গোরেগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের মুলুন্দের কংগ্রেস কর্মী বিনোদ কাজানিয়া। সেটি আম্বোলি থানায় পাঠিয়ে দিল পুলিশ। মুনমুন থাকেন আম্বোলি থানার অধীনস্থ এলাকায়।
সম্প্রতি মুনমুন ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে মেক আপ প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি এমন ভাবে সেজেছেন যাতে তাঁকে ভাঙ্গিদের মতো না দেখায়। অতীতে শৌচকর্মী ও মাথায় মলমূত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন সম্পর্কে এই অবমাননাকর শব্দটি ব্যবহার করা হোত। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। মুনমুনের বিরুদ্ধে বাল্মিকী বিকাশ সঙ্ঘ নামে দলিত সংগঠনের নেতা রেশমপাল বোহিতের অভিযোগের ভিত্তিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার রোধ) আইন, ২০১৫ র নানা ধারায় ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় এফআইআর রুজু করে পুলিশ। অন্যান্য রাজ্যেও মুনমুনের মন্তব্যের প্রতিবাদে এফআইআর দায়ের হয়। মুনমুনের গ্রেফতারির দাবি ওঠে।
মুম্বই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাজেশ ইঙ্গলের দাবি, টিভি ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বাল্মিকী সম্প্রদায়ের অনেক অভিনেতা আছেন, যাঁরা ভাল মানুষ। সুতরাং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে খারাপ চেহারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি নিজের ভক্তদের সমেত বহু মানুষকে আঘাত করেছেন। তিনি জনপ্রিয় টিভি তারকা, সেলেব্রিটি। তাঁর আরও বেশি দায়িত্ববান,সংবেদনশীল হয়ে কথা বলা উচিত। তবে যাতে নাগরিকদের পাশাপাশি নামী মানুষজনও এধরনের অবমাননাকর মন্তব্য, তফসিলি জাতি, উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়কে অপমান করা থেকে বিরত থাকেন, সেজন্য দৃষ্টান্ত হিসাবে মুনমুনকে গ্রেফতার করা জরুরি।
সমালোচনার মুখে মুনমুন অবশ্য বিতর্কিত ভিডিওর কিছুটা ছেঁটে সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে লেখেন, তাঁর ব্যবহার করা একটি শব্দের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। কারও ভাবাবেগকে আঘাত, অপমান করতে কথাটা বলেননি তিনি। ভাষাগত সমস্যার জন্য তিনি শব্দটির অর্থ সম্পর্কে ভুল জেনেছিলেন। পরে কেউ ভুলটা ধরিয়ে দিতেই তিনি সেই অংশটি মুছে দেন।
মুনমুনের কেরিয়ার শুরু মডেল হিসাবে। পরে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ হয় হাম সব বারাতি হ্যায় সিরিয়ালে। মুম্বই এক্সপ্রেস, হলিডের মতো ছবিতেও কাজ করেছেন।