ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 10th December 2024 16:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দি টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় কমেডিয়ান সুনীল পাল। গত মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় আচমকাই একটা খবর ভেসে ওঠে। রীতিমতো হইচই পড়ে যায় চারিদিকে। সরগরম হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যমও। পুলিশের দারস্থ হন কৌতুক শিল্পী সুনীল পালের স্ত্রী। শো করতে মুম্বইয়ের বাইরে গিয়েছিলেন। সুনীলের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী। টানা দু’দিন নিখোঁজের পর অবশেষে বাড়ি ফিরেছিলেনন কৌতুক অভিনেতা। এবার অপহরণকে কেন্দ্র করে এক নতুন মোড় সামনে এসেছে।
সুনীল পাল ফিরে আসার পর জানিয়েছিলেন, তাঁর থেকে চাওয়া হয়েছিল কুড়ি লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি অত টাকা দিতে পারেননি। ফলে গোটা বিষয়টাই ৭.৫ লাখে মীমাংসা হয়। কিন্তু এবার জানা গেল নতুন তথ্য। সূত্রের খবর, যখন অপহরণকারীরা সেই টাকা পেয়ে যায়, তখন তারা সুনীলকে মুম্বই যাওয়ার ফ্লাইট ধরতে নগদ কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে দেয়।
#मेरठ के ज्वैलरी शोरूम में बैठे ये दो लोग प्रसिद्ध कॉमेडियन सुनील पाल के किडनैपर्स है. खरीदारी तक सुनील इसके पास बंधक थे
— Narendra Pratap (@hindipatrakar) December 9, 2024
सुनील के खाते से पैसा ट्रांसफर कराकर फिरौती की रकम से बदमाशों ने ज्वैलरी खरीदी
8 लाख की फिरौती वसूली
मुंबई पुलिस ने ज्वेलर्स के खाते फ्रीज करा दिए है pic.twitter.com/32rBL6ltFl
তথ্য অনুযায়ী, কমেডিয়ান সুনীল পালকে ২ ডিসেম্বর রাতে হরিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ জন্য তিনি সেদিন মুম্বই থেকে দিল্লির ফ্লাইটে আসেন। পাঁচ-ছয়জন মিলে তাঁকে দিল্লিতে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। অপহরণকারীরা তাঁকে একটি গাড়িতে করে মিরাটে নিয়ে যায়। এ সময় তার চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে তিনি কিছুই দেখতে পাননি।
অপহরণকারীরা তাকে ২৪ ঘন্টা মিরাটে আটকে রাখে। এরপর অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা নেওয়া হয় এবং পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুনীল পালকে চোখ বেঁধে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল। তারপর সেই শহর থেকে গয়না কেনা হয়। মুক্তিপণের টাকা জুয়েলার্সের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। এ বিষয়ে মুম্বইয়ের সান্তা ক্রুজ থানায় মামলা করেছেন কৌতুক অভিনেতা।
তদন্তের পর, মিরাটের গয়না বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মিরাট সদর থানা এলাকার আকাশ গঙ্গা জুয়েলার্স থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকার গয়না কিনেছিল। এর পরে, অভিযুক্তরা ব্যবসায়ী অক্ষিত সিংগালের দোকান থেকে প্রায় ২.২৫ লক্ষ টাকার কেনাকাটা করে। এই দুই জায়গা থেকে সুনীল পালের নামে বিল করা হয়। এর জন্য সুনীল পালের আধার কার্ড ও প্যান কার্ড দেওয়া হয়েছে। টাকা সুনীল পালের মোবাইল থেকে জুয়েলার্সের অ্যাকাউন্টে অনলাইনে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্তের কথা জানিয়েছে মিরাটের এসএসপি।