শেষ আপডেট: 2nd March 2025 19:43
উৎসবে ১৮টি সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়ে পুরস্কৃত হয়, যা সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর দ্বারা নির্ধারিত হয়। বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলোর বিশেষ প্রদর্শনীতে নির্মাতারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শিত ছবিগুলো বিষণ্নতা, আত্মহত্যা, পুরুষদের ওপর যৌন নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল ও গভীর সামাজিক বিষয় তুলে ধরে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাই থেকে রাজ্জ এম রাও ও সোলেন অ্যাংলারেট এবং বাংলাদেশ থেকে তামান্না সুলতানা, যাঁরা তাঁদের পুরস্কার গ্রহণ করেন। ভারতীয় স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারাও তাঁদের অসাধারণ কাজের জন্য স্বীকৃতি পান।
উৎসবের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিল খ্যাতনামা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের উপস্থিতি, যাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘এবং ছাদ’ পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জয় করে।
উৎসবের পুরস্কার বিতরণী পর্ব শুরু হয় সম্প্রতি প্রয়াত চলচ্চিত্র শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর মাধ্যমে। এরপর কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর ওপর একটি বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে সুদেষ্ণা রায়, অর্ঘ্যকমল মিত্র, অভিজিৎ গুহর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনার সঞ্চালনা করেন উৎসবের আহ্বায়ক রুথলাইন সাহা। এই আলাপচারিতায় ঋতুপর্ণ ঘোষের জীবন ও চলচ্চিত্রের প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
এরপর শুরু হয় গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন সেরেমনি, যেখানে বিশ্বজুড়ে প্রতিভাবান নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। বিশেষ জুরি পুরস্কার অর্জন করেন দুবাইয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ্জ এম রাও।
কিউরেটর সুমিত আচার্য বলেন, "চলচ্চিত্র শুধুই বিনোদন নয়, এটি এক অনন্য শিল্প। এই শিল্পের জাদুকে সম্মান জানানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রতিভার স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেরা নির্মাতাদের সম্মানিত করাই আমাদের দায়িত্ব। এবারের উৎসব ছিল আমাদের জন্য সত্যিকারের সাফল্য, যা বিশ্বজুড়ে অংশগ্রহণকারীদের পরিশ্রমের ফল।"
উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে সেভেন্থ হেভেন কলকাতা বেকারির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কেক কাটার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ঋষভ সাধুখাঁ বলেন, "এই কেক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীলতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রতিটি চলচ্চিত্র যেমন একটি গল্পের উন্মোচন করে, আমাদের কেকও সেই গল্পকেই চিত্রিত করেছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভালবাসা পাওয়া সত্যিই আমাদের জন্য সম্মানের।"
উৎসবে সংগীতের এক বিশেষ সন্ধ্যায় জনপ্রিয় গায়িকা অন্বেষা দত্তগুপ্ত মঞ্চে পারফর্ম করেন। তিনি তার আসন্ন চলচ্চিত্র ‘হমসাজ – দ্য মিউজিক্যাল’-এর প্রচারে এসেছিলেন পরিচালক সৌম্যজিত গাঙ্গুলির সঙ্গে। অন্বেষার মায়াবী কণ্ঠে ছবির গানগুলো উৎসবের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করে।