‘চোর বাজারি’—আগে ও পরে
শেষ আপডেট: 6 May 2025 11:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউড মিউজিক বর্তমানে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নতুন গান তৈরির পাশাপাশি, পুরনো জনপ্রিয় গানকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করার প্রবণতা। এই ধারার সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘ভুল চুক মাফ’ ছবির গান ‘চোর বাজারি ফির সে'।
এই গান ২০০৯ সালের 'লভ আজ কাল' ছবির 'চোর বাজারি'র আধুনিক সংস্করণ। তবে এটি সরাসরি রিমেক নয়; বরং পুরনো গানের আবেগ, মেজাজ এবং টাইটেলকে ধরে রেখে নতুন সুর ও সংগীতায়োজনে উপস্থাপন করা হয়েছে। গানটি গেয়েছেন সুনিধি চৌহান, নীরজ শ্রীধর, জাহরা এস খান এবং তনিষ্ক বাগচি। সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন তনিষ্ক বাগচি ও প্রীতম, এবং গানের কথা লিখেছেন ইরশাদ কামিল ।
তনিষ্ক বাগচি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন কিছু তৈরি করা যা 'তাজা কিন্তু নস্টালজিক'। তিনি ক্লাসিক্যাল যন্ত্রের সঙ্গে আধুনিক বিটের মিশেল ঘটিয়ে এমন এক সুর তৈরি করেন যা পুরনো শ্রোতাদের স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সমসাময়িক ও আকর্ষণীয় শোনায়।
এই ধারা শুধু 'চোর বাজারি ফির সে'তেই সীমাবদ্ধ নয়। সম্প্রতি 'সত্যপ্রেম কি কথা' ছবিতে 'পাসুরি নু' গানটি কোক স্টুডিওর জনপ্রিয় 'পাসুরি' গানের অনুপ্রেরণায় তৈরি। এছাড়া, 'অ্যান অ্যাকশন হিরো' ছবিতে 'জেহদা নশা' গানটি পুরনো 'নশা' গানের নতুন সংস্করণ।
এই ট্রেন্ডের পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে: পুরনো গানের প্রতি শ্রোতাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে গানগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের গানগুলোর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা। পরিচিত সুর ও কথার গানগুলি সহজেই শ্রোতাদের মন জয় করে। এগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়, যা সিনেমার প্রচারে সহায়ক। তবে, অনেক সংগীতপ্রেমী এই প্রবণতাকে সমালোচনার চোখে দেখছেন। তাঁদের মতে মৌলিকতার অভাবে ভুগছে বলিউড এবং পুরনো গানের ‘আত্মা’ নতুন সংস্করণে হারিয়ে যায়।
তবুও, এই ট্রেন্ডের জনপ্রিয়তা কমছে না। বক্স অফিস এবং মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের গানগুলির সাফল্য প্রমাণ করে যে, পুরনো ও নতুনের মিশ্রণ শ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম। সঙ্গীত সবসময় পরিবর্তনশীল। নতুন সংস্করণ হোক বা সম্পূর্ণ মৌলিক সুর, মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রোতাদের অনুভূতিতে স্পর্শ করা। যতদিন এই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে, ততোদিন রিমিক্স গানগুলো শ্রোতাদের জীবনের অংশ হয়ে থাকবে।