শেষ আপডেট: 15th April 2025 12:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৬০-৭০ দশকে রাজ কাপুর ও নার্গিসের কেমিস্ট্রি ছিল বলিউডের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। তাঁদের একের পর এক ছবি ছুঁয়ে ফেলত দর্শকের হৃদয়—‘আন্দাজ’, ‘শ্রী ৪২০’, ‘আওয়ারা’, আর সেই শুরু হয়েছিল ‘বরসাত’ দিয়ে। মুম্বইয়ের রূপতারা স্টুডিওতে তখন চলছে ‘বরসাত’-এর শুটিং, ক্যামেরার আলো–ছায়ায় ঠিক তখনই ঘটে গেল এক বিস্ময়কর ঘটনা—যার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন শাম্মি কাপুর!
সেদিন হঠাৎ স্টুডিওতে এলেন সদ্য তরুণ শাম্মি। তাঁকে দেখেই নার্গিস যেন অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে সোজা মেকআপ রুমে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। হতচকিত শাম্মি ছুটে গিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, “কি হয়েছে? আপনি কাঁদছেন কেন?”
নার্গিস জলভেজা চোখে বললেন, “তোমার পরিবার ভাবছে, রাজ আর আমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে। শুনছি ‘আওয়ারা’ ছবিটা থেকেও আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে! কিন্তু আমি ওটা করতে চাই, খুব করতে চাই! তুমি ‘প্রার্থনা করো যেন আমি ছবিটা পাই। যদি সত্যিই পাই, আমি তোমাকে অনেকক্ষণ ধরে একটা চুমু খাবো!”
সময় গড়িয়ে যায়। ‘বরসাত’ মুক্তি পায়, হিটের তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যায়। অন্যদিকে শাম্মিও ধীরে ধীরে গা ভাসান অভিনয়ের জগতে। ঠিক সেই সময় নার্গিস পেয়ে যান ‘আওয়ারা’-র অফার, শুরু হয় শুটিং।
এই সময়ই আবার একদিন স্টুডিওতে হাজির হন শাম্মি কাপুর। নার্গিস তাঁকে দেখামাত্রই চমকে উঠে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন, যেন পালানোর উপক্রম! তিনি ছুটতে শুরু করলেন আর পেছন পেছন দৌড়াতে থাকেন শাম্মি। নার্গিস সোজা ঢুকে যান মেকআপ রুমে, দরজা বন্ধ করে দেন। বাইরে থেকে শাম্মি জিজ্ঞেস করলেন, “এই কী হচ্ছে? আমাকে দেখেই পালালে?”
ভিতর থেকে নার্গিস হেসে বললেন, “তুমি এখন বড় হয়ে গিয়েছ শাম্মি! আমি তোমায় চুমু খেতে পারবো না!” শাম্মি হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন, বললেন, “আমি তো চুমুই চাইনি!” নার্গিস অবাক, “তাহলে কী চাই?” শাম্মির উত্তর, “গ্রামাফোন!” এই কথাতেই দুইজনে হেসে লুটিয়ে পড়েন। তারপর শুটিং বন্ধ রেখে নার্গিস নিজেই চলে যান চার্চগেট, কিনে আনেন একখানা চকচকে লাল গ্রামাফোন। সেই গ্রামাফোনই শাম্মি কাপুরের উপহার।