শেষ আপডেট: 8th December 2024 08:36
'যাব কোয়ি পেয়ার মে হোতা হ্যায়, তো কোয়ি সহি গলত নেহি হোতা'
শুরু হোক 'জব উই মেট'-এর এই লাইন দিয়েই। সত্যিই তো, ভালবাসার আবার ঠিক ভুল হয় নাকি! তার উপর যদি সেই ভালবাসা প্রাণের শহর কলকাতাকে ঘিরে হয়। কল্লোলিনী তিলোত্তমার মুকুটে খ্যাতি, গৌরবের পালক নেহাত কম নেই। তাই হয়তো সকলেই বার বার প্রেমে পড়েন এই শহরের। তেমনই কলকাতার সঙ্গে এক অন্য রকমের সম্পর্ক বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক ইমতিয়াজ আলির। গোটা শহর মেতেছে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ‘মাই মেলবোর্ন’ সিনেমার প্রচারে এসেছেন কলকাতায়।
নন্দনে তাঁর সিনেমা প্রদর্শনীর পরেই মুখোমুখি হলেন দ্য ওয়ালের সঙ্গে। সেখানে পরিচালককে প্রশ্ন করা হয়, বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে তিনি কোনও ছবি করতে চান কিনা? উত্তরে সবার মন জয় করেন ইমতিয়াজ। বলেন, 'আমি অবশ্যই চাইব, এমন একটা সিনেমা করতে, যেখানে বাঙালি সহ-পরিচালক, বাঙালি শিল্পী, বাঙালি সঙ্গীত পরিচালকেরা থাকবেন। সেই সঙ্গে থাকবেন বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।'
এই উত্তরের প্রসঙ্গেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বাঙালি কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তাঁর ভাল লাগে? উত্তরে তিনি বলেন, 'শুনতে অবাক লাগলেও আমার যাঁদের পছন্দ, চাইলেও তাঁরা এখন সিনেমা করতে পারবেন না। খুব মনে হয়, যদি উত্তম কুমারকে পেতাম। অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনও আমার খুব পছন্দের। তাঁদের নিয়ে যদি একটা সিনেমা করতে পারতাম! তবে এখনকার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও বেশ ভাল। কিন্তু সিনেমা করার জন্য আমার সব সময়ের পছন্দ থাকবেন সেকালের তারকারাই।' বেশ কিছুটা আফসোসের সুরেই বলতে শোনা গিয়েছে পরিচালককে।
সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ আরও বলেন, 'এমন একটা গল্প লিখতে চাই, যার গোটা শুটিংটা আমি কলকাতায় করতে পারব। কারণ এই শহরের অনেক কিছুই আমাকে ক্রমশ অবাক করে। কলকাতা মানেই চারিদিকে শিল্প। তা দেখলেই যেন মন ভাল হয়ে যায়।'
সদ্য প্রদর্শন হওয়া ‘মাই মেলবোর্ন’ সিনেমা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'এই সিনেমার পরিচালক আমি একা নই। আরও তিনজন পরিচালক এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন। মোট চারটি গল্পের উপর ভিত্তি করে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গল্পের সঙ্গে অন্য গল্পের একটি গভীরভাবে যোগাযোগ রয়েছে। এতে আছে সরল স্টোরি টেলিং।' চারটি এমন সাধারণ মানুষের সাধারণ গল্প নিয়েই মেলবোর্ন শহরকেন্দ্রিক এই ছবিটি বুনেছেন ইমতিয়াজ আলি, কবীর খান, রীমা দাস, ওনির।