ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 7 May 2025 19:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সন্ত্রাসবাদের ভারতীয় প্রত্যাঘাত ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনি। দ্য ওয়ালের কাছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন জনপ্রিয় অভিনেতা লেখক ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
ভাস্বর বললেন 'একটা সময় ভারতের নীতি ছিল আমাকে চড় মারলে আমার আর একটা গাল বাড়িয়ে দেব । কারণ আমরা ছিলাম অহিংস নীতি মেনে চলা শান্তিপূর্ণ দেশ। কিন্তু সে সময়টা চলে গেছে। এখন চড় খেলে আবার চড়টা ফিরিয়ে দিতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই চড় সপাটে মেরেছে। আজ ৭ মে আমাদের ভারতবাসীদের কাছে বিরাট একটা দিন। ২৬ টা পরিবারের যে নিরীহ প্রাণ চলে গেছিল, তাঁদের চোখের জল কিছুটা হলেও মুছল।
বেশ কয়েক বছর ধরে কাশ্মীর ভাস্বরের কাছে নিজের ঘরবাড়ি হয়ে গেছে। এতবার তিনি কাশ্মীর গেছেন। সেখানকার মানুষরা ভাস্বরের কলকাতার ফ্ল্যাটেও এসেছেন বহুবার। অভিনেতার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কাশ্মীর নিয়ে ভাস্বর এক গুচ্ছ বই লিখে ফেলেছেন। 'অন্য উপত্যকা', 'আলোর উপত্যকা', 'মহারানি দিদ্দা', 'আলিয়া' প্রতিটি বই রীতিমত বেস্টসেলার।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভাস্বর বললেন 'জঙ্গি ঘাঁটি যে পাকিস্তানে একাধিক রয়েছে সেটা সারা পৃথিবী জানে। এবার তো সারা দুনিয়ার সামনে প্রমাণ হয়ে গেল পাকিস্তান জঙ্গিদের আস্তানা। ভারতীয় সেনাবাহিনী কিন্তু একমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকেই আক্রমণ করছে। বেশ করছে, ঠিক করছে। ভারত সরকার জঙ্গিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তান জঙ্গি ঘাঁটির মূল উৎস।
শুনলাম পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এখন বলছেন 'শান্তি চাই'। শান্তি চাইলে পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালিয়েছিল কেন? আর সেই লোকগুলো পাকিস্তান থেকেই এসেছিল তা নতুন করে প্রমাণ করার আর কিছু নেই। চড় খাবার দিন শেষ, চড় মারার দিন শুরু হয়ে গেছে।
ভাস্বর আরও একটি ব্যাপারে দারুণ খুশি। তাঁর কথায় 'খুশির কারণ ভারত মক ড্রিল করছে, শিখছে তাই পাকিস্তান ভাবছিল ভারত টেবিলের তলায় লুকোবে। কিন্তু তা যে নয় ভারত দেখিয়ে দিল। পাকিস্তান যে হামলা ধারণা করতে পারেনি ভারত তা করে দেখালো। আমি গর্বিত। আমি অন্তর থেকে খুশি হয়েছি ২৬ টা জানের জন্য।'