Latest News

মদ খেয়ে বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করত নোবেল! শিমুর স্বামীকে নিয়ে বিস্ফোরক তাঁর দাদা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তায় ভরা লাশ উদ্ধার হয়েছে ঢাকা থেকে। তারপর থেকেই সেদেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। জানা গেছে, শিমুকে খুন করেছেন তাঁরা স্বামীই। পুলিশি জেরার মুখে তিনি সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন প্রাথমিকভাবে। শিমুর দাম্পত্য জীবন যে খুব একটা নির্ঝঞ্ঝাট ছিল না তা নিয়ে এসবের মাঝেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রীর বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

খোকন শিমুর হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী শাখাওয়াত আলি নোবেলের দিকেই প্রথম থেকে আঙুল তুলেছিলেন। থানায় নোবেল কিছু স্বীকার করাই আগেই তিনি তাঁর ও আরও কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুলিশের কাছে। বোনের হত্যাকারী যে তাঁর স্বামীই, তা আগেই আন্দাজ করে ফেলেছিলেন বড় ভাই।

খোকন জানান, শিমুর সংসারে অশান্তি প্রায়ই লেগে থাকত। আর তার জন্য দায়ী নোবেলই। প্রায়ই তিনি শিমুর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করতেন। মদ্যপানও করতেন হামেশাই, অভিযোগ খোকনের। মদ খেয়ে বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা করতেন নোবেল, তেমনটাই জানিয়েছেন শিমুর ভাই।

নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ মারুফ হোসেন সরদার জানিয়ে দেন নোবেল স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেরার মুখে।

খোকন আরও জানিয়েছেন, তিনি নোবেলের গাড়িতে রক্ত দেখেছেন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নোবেল বাড়িতে ছিলেন না, তাও খোকনের নজর এড়ায়নি। সেই থেকেই বোনের খুনিকে নিয়ে তাঁর ধারণা হয়েছিল বদ্ধমূল।

খোকনের আরও দাবি, শিমুর লাশের পরনে যে কাপড় ছিল, তা তাঁর বোন কখনও পরে বের হননি। রবিবার সকালে থানায় গিয়ে শিমুর স্বামী জানিয়েছিলেন শ্যুটিংয়ের জন্য বেরিয়ে আর তাঁর স্ত্রী বাড়ি ফেরেননি। জেনারেল ডায়েরি করেছিলেন তিনি। একদিন পর রাজধানীর কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে উদ্ধার হয় শিমুর মৃতদেহ।

৪০ বছর বয়সি শিমুর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ভরা হয়েছিল দুটি আলাদা বস্তায়। খুনের পর লাশ গুম করতে নোবেলকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ, তেমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ।

You might also like