শেষ আপডেট: 17th January 2025 07:02
তদন্তে জানা গেছে, সইফ আলি খানের বাড়ির জরুরি ফায়ার এক্সিট দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিল আততায়ী। ওই দরজাটি খোলা ছিল এবং বাড়ির পেছনের অংশের নিরাপত্তাতেও বড় ফাঁকফোকর ছিল। আততায়ী বাড়ির পিছনের সিঁড়ি দিয়ে ওই দরজায় পৌঁছেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আততায়ীর ছবিও পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। চোখে মুখে অপরাধবোধ। এক পর্যায়ে ক্যামেরার দিকেও তাকাতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পরনে টি-শার্ট, পিঠে ব্যাগ। কারও নির্দেশেই কি সইফের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা? উঠছে প্রশ্ন। মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা সকাল থেকেই সক্রিয়। গঠিত হয়েছে সাত সদস্যের একটি দলও।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আগের থেকে ভাল আছেন সইফ। এ দিন দুপুরেই তাঁর আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়। এর পর সইফের টিম থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। তাতে লেখা, "সইফ আলি খানের ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। উনি ক্রমশ সুস্থতার দিকে এগিয়ে চলেছেন। ডক্টর নীরজ উত্তমণি, ডক্টর নীতিন ডাঙ্গে, ডক্টর লীনা জৈন ও লীলাবতি হাসপাতালের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। সকল ভক্ত ও শুভান্যুধায়ীদেরও আমাদের তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ।"
এই ঘটনার পর করিনা কাপুর খান একটি বিবৃতি দেন। তিনি লেখেন, 'আজকের দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত কঠিন। আমরা এখনও ধাক্কা সামলাতে পারিনি। আমি বিনীতভাবে মিডিয়া এবং পাপারাৎজিদের অনুরোধ করছি, দয়া করে অকারণ জল্পনা এবং লাগাতার নজরদারি বন্ধ করুন। আমাদের এই কঠিন সময়ে সামান্য ব্যক্তিগত জায়গা দিন। আপনাদের পাশে থাকায় আমরা কৃতজ্ঞ। তবে এই ধরনের নজরদারি আমাদের নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলছে। আশা করি, আপনারা পাশে থাকবেন এবং বুঝবেন।'
এই ঘটনার পর পুলিশ ও সাইফ-করিনার পরিবার তাদের বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আততায়ীর উদ্দেশ্য এবং তার সঙ্গে পরিবারের কারও যোগসাজশ ছিল কিনা সেও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।